সোমবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পাহাড়ের চলমান উন্নয়নকে যারা অস্বীকার করে তারা দেশ বিরোধী
পাহাড়ের চলমান উন্নয়নকে যারা অস্বীকার করে তারা দেশ বিরোধী
মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :: (২৬ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩০মি.) জঙ্গলে বসে যারা চাঁদাবাজি করে তাদের জন্যে পাহাড়ের কাঙ্খিত উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, পাহাড়ের চলমান উন্নয়নকে যারা অস্বীকার করছে তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের দলভুক্ত । তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পরিচালনা ও উন্নয়নকে আরও বেগবান করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার গুরত্বারোপ করেন।
৯ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১ টার দিকে “টেকশই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ করবে বিশ্বজয়” এ শ্লোগানকে ধারণ করে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু করে মেলা মাঠের প্রবেশমুখে ফিতা কেটে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উন্নয়ণ মেলা-২০১৭ইং বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকৌশলী মো: আনোয়ারুল হক‘এর স্বাগত বক্তব্য ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো: শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস হাসিনা বেগম,মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মনছুর আলী,মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাহাদাত হোসেন টিটো ও বড়নাল ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আলী আকবর প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সমতলের ন্যায় পাহাড়ের উন্নয়নে সরকার সমানতালে কাজ করছে দাবী করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, খাগড়াছড়িকে বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয় সম্ভব নয়। এমডিজি (মিলিনিয়াম ডেভেলপমেমন্ট গোল) অর্জনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যেই এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেমন্ট গোল) বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সফল করতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে একসাথে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করে সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান যারা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করতে চায় তাদেরকে ‘নব্য রাজাকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদসহ ৬৩টি স্টল স্থান পেয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ মেলা চলবে । প্রতিদিন মেলায় সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড ছাড়াও উন্নয়ন বিষয়ক বিতর্ক, ক্যুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে নাগরিক সেমিনারের আয়োজন থাকবে। এছাড়াও মেলায় আগতদের বিনোদনের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে মেলা মঞ্চে।