মঙ্গলবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আমতলী সরকারি কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের ৩ মাস ধরে বেতন নেই
আমতলী সরকারি কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের ৩ মাস ধরে বেতন নেই
বরগুনা প্রতিনিধি :: (২৭ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০৭মি.) বরগুনার আমতলী সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষক কর্মচারীরা তিন
মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এর ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে
পড়েছে। আমতলী ডিগ্রি কলেজ জাতীয় করণ হওয়ার পরে গত বছর ৩০ জুন চাখার শের- ই বাংলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রেজাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রেষনে (সংযুক্ত) অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়। ওই আদেশের কারনে ১১ জুলাই মাসুদ রেজা যোগদান করেন।
অপরদিকে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান ৬ সেপ্টেম্বর মাসুদ রেজার সংযুক্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের আদেশ বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন (পিটিশন নং ১১৭৪৯ /২০১৬)। ওই দিনই বিচারপতি তরিকুল হাকিম ও মো. এম ফারুক এর যৌথ বেঞ্চ সংযুক্ত মাসুদ রেজার নিয়োগ আদেশ স্থগিত করে মোঃ মজিবুর রহমানকে বৈধ অধ্যক্ষ বলে আদেশ দেন। সেই সাথে কেন এ আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারন দর্শানোর জন্য সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। অন্যদিকে, মাসুদ রেজার বিরুদ্ধে কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাস তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। এনিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অধ্যক্ষ মাসুদ রেজা আবুল হোসেন বিশ্বাসকে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর চলতি অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে আমতলী ত্যাগ করে চলে যান। এদিকে, সাবেক অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান আদালতের আদেশে তিনি বৈধ অধ্যক্ষ দাবী করে কোন চেকে
টাকা উত্তোলন করতে না পারে এ জন্য আপত্তি দিয়ে সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংক আমতলী শাখা ব্যবস্থাপককে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ব্যাংক
থেকে কোন টাকা না দেয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন ভাতা তুলতে পারছেন
না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ জটিল সমস্যা সমাধান না করায় ৬৫ জন শিক্ষক কর্মচারী বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন এবং কলেজের প্রশাসনিক কাজ স্থবির
হয়ে পড়েছে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যক্ষ মাসুদ রেজাকে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর পটিয়া সরকারী কলেজে বদলী করেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাকে (মৌখিক) বলা হয়েছে কলেজে নতুন
কোন অধ্যক্ষ দেয়া হয়নি।
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আমি (মো.মজিবুর রহমান) বৈধ অধ্যক্ষ হওয়া সত্বেও চলিত.দায়িত্বপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাস আমাকে দায়িত্ব
দিচ্ছেন না। ভারপ্রাপ্ত (চলতি) অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বিশ্বাস বলেন, সংযুক্ত অধ্যক্ষ মাসুদ রেজা আমাকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাকে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশ দিবেন তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবো। কলেজ অধ্যক্ষ মাসুদ রেজা ফোনআলাপে বলেন, এ বিষয় আমি বলতে পারব না। আপনারা ডিজি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করুন।