বুধবার ● ১১ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » মাদকাসক্ত হয়ে পরেছে বরগুনার শিশু কিশোর ও যুব সমাজ
মাদকাসক্ত হয়ে পরেছে বরগুনার শিশু কিশোর ও যুব সমাজ
মুতাসিম বিল্লাহ,বরগুনা প্রতিনিধি :: (২৬ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৪মি.) মাদক আসক্ত হয়ে পরেছে পাথরঘাটার শিশু কিশোর ও যুব সমাজ। দিন দিন মাদক আসক্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মাদকের ব্যবহার অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রন করা না গেলে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পাবে। এ ছারাও বৃদ্ধি পাবে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড এমনটাই মনে করেন স্থানীয় শুশীল সমাজ।
স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পাথরঘাটার পুরুষ অধিবাসিদের মধ্যে শতকড়া ৪৫% প্রবাসি।
এছাড়াও অধিকাংশ পুরুষ কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন চাকুরিতে কর্মরত থাকায় উঠতি বয়সি সন্তানেরা বাবার শাষন থেকে মুক্ত থাকে। তারা তাদের সহজ সরল মা কিংবা অভিভাবকদের নানা অজুহাত দিয়ে টাকা নিয়ে নেশাগ্রস্থ বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠে। জেনে শুনেই নিজেকে মাদকের বিষাক্ত থাবায় সপে দেয়। উঠতি বয়সের কিশোর কিশোরিরা যাদের বয়স ১৬ থেকে ২০ তারাই মাদকের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পরছে।
অনেক আগে ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক সেবনে উচ্চবিত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন বিত্তের মধ্য এর বিস্তার ঘটেছে।
কিশোর,তরুণ যুবক থেকে বৃদ্ধ বয়সের নারী পুরুষ কেউ বাদ যাচ্ছেনা মাদকের এই করাল গ্রাস থেকে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, বাংলা মদ সহ আর বিভিন্ন ধরনের নেশার মাদকদ্রব্য।
তবে ইদানিং ইয়াবার কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলন্ত অবস্থায় গাড়িতেও মাদকের বেচাকেনা হয়ে থাকে বলেও যানা গেছে। পাথরঘাটার কামারহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান মাদকের ভয়াবহতায় আতকে উঠতে হয়।
স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের মাঝেও এর প্রবনতা রয়েছে। তাই ছেলে মেয়ে
নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাথরঘাটা উপজেলা। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে
এলাকার ধনাঢ্য পরিবারের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের টার্গেট করে মাদক ব্যবসায়ীরা।
প্রথমে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে পরে তাদেরকে মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করে। একদিন দুদিন তিনদিন এমন করে সপ্তাহ খানেক টাকা ছাড়াই মাদক সেবন করায়। যখন মাদক ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারে সে মাদকে আসক্ত হয়ে গেছে তখন মাদক ব্যবসায়ীরা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
আসক্ত যুবক যুবতীরা তখন মাদক গ্রহণ করার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে। তখন
সে নিজের ইচ্ছায় মাদক ব্যবসায়ীকে খুজে বের করে। পরে টাকা দিয়ে মাদক কিনতে বাধ্য হয়। অনেক সময় মাদকের টাকা যোগার করতে না পারলে বিভিন্ন অপরাদ মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। এ দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা হচ্ছে লাভবান। এর এ মাদক ব্যবসায়ীরা হলো সাধারণ সমাজের চতুর প্রভাবশালী লোক।
তারা প্রচন্ড অর্থলোভী। মাদক বিক্রি করতে তাদের টার্গেট সমাজের নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। যারা সহজে তাদের ফাঁদে পা দেয়।
অন্যদিকে তাদের সাথে রয়েছে বড় চক্রের যোগাযোগ যারা প্রশাসনের সাথে গোপন যোগসূত্র রেখে চলে।
আর এসব দালালরা লাল বাহিনী নামে পরিচিত। তবে কিছুদিন আগে পুলিশ ও র্যাবের কাছে বেশ কয়েকজন ধরা পরলেও কিছুদিন পর জামিনে বের হয়ে যায়। আবারও পূর্ন উদ্দ্যমে শুরু করে মাদক ব্যবসা। তবে পুলিশ জানিয়েছেন যে কোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের খবর পেলেই আমরা অভিযান চালিয়ে অপরাধীকে
গ্রেফতারের চেষ্টা করি।