বৃহস্পতিবার ● ১২ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে প্রতিমা তৈরী করে আর্থিক স্বচ্ছলতা
বাগেরহাটে প্রতিমা তৈরী করে আর্থিক স্বচ্ছলতা
বাগেরহাট প্রতিনিধি :: (২৯ পৌষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩৭মি.) বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাটির প্রতিমা তৈরীকরে শ্রবনও বাকপ্রতিবন্দী মধু সুদনের ফিরে আসছে আর্থিকস্বচ্ছলতা। ডাকনাম মধূ- পুরোনাম মধূসুদন বিশ্বাস উপজেলার খড়মখালী গ্রামের স্বর্গীয় কালিদাস বিশ্বাসের ছেলে। চার ভাই বোনের মধ্যে মধূসুধন সবার ছোট।ইশারা, ইঙ্গিতে তিনি সবার সাথে ভাব বিনিময় করেন। তবে অভাবের সংসারে থেকেওবিগত দিন গুলোয় মধূ কারো বোঝা হতে চাননি। কাজের প্রতি সে অঢেল মনযোগী- ফলে মধূসুধন বর্তমান এক সফল মৃৎশিল্পী। অভাবের সংসারে যার দু’ মুঠোভাত খাওয়াটাই ছিল খুব দুঃসাধ্য। সেই মধুর নিপুন হাতের তৈরীকরা মাটির প্রতিমা তাকে যুগিয়ে দিয়েছে অন্নের সন্ধান,এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। বর্তমান মধুর তৈরী করা প্রতিমা এঅঞ্চলের হিন্দুপরিবারে বেশ চাহিদা রয়েছে।ফলে হিন্দু অধ্যুসিত চিতলমারী এলাকার প্রায় অধিকাংশ ঘরেই এখনমধুর তৈরী প্রতিমা শোভাপাচ্ছে। ছোট, বড় আকারের প্রতিমার মধ্যে যেমন, দূর্গা, কালি, লক্ষী, শরস্বতী,শিতলাদেবী, শিব সহ প্রভৃতি। গড়হারে প্রতিটা প্রতিমা বিক্রয় করে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় করেনমধূ ।লাঞ্চনা-বঞ্চনা, অর্ধহারে-অনাহারে যে প্রতিবন্দী মানুষটি এক সময় ছিলেন সমাজের বোঝা, সেএখন কর্মের সফলতায় ফিরে পেয়েছেন নতুন জীবন। ফিরিয়ে এনেছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা।তবে মধূর ২০-২২ বছরের সফলতার পেছনে শিক্ষাগুরুর দায়িত্বে ছিলেন আপন ভাই কিশোর বিশ্বাস।সৎ-সাহস ও কর্মদক্ষতাই একজন প্রতিবন্দীকে নয়- প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের চাঁকা ঘুরিয়ে দিতেপারে।