শিরোনাম:
●   হাটহাজারী মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অভিষেক ●   মিরসরাইয়ে ইসলামী সংগীত প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে আগুন : প্রায় ২৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আশুলিয়া থানা কমিটি গঠন ●   জঙ্গল থেকে ঝাড় ফুল সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে রফিক ●   কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হাতে যুবদল নেতার প্রাণ হারানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ●   ফটিকছড়িতে ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে ৭ ব্যক্তির জেল ●   রাউজানে ব্যবসায়ী হত্যা : পরিবার বলছেন মামলা করলে, আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে ? ●   একুশে পদক সাংবাদিকতায় মফস্বল থেকে ১জনকে দেয়ার নীতিমালা পরিবর্তন করা দরকার ●   কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ ●   ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন : সভাপতি শাহাদাৎ, সম্পাদক নাসিম ●   ঈশ্বরগঞ্জ কালীবাড়ী মন্দিরে হরিনাম সংকীর্ত্তণ ●   প্রজ্ঞ্য ও দূরদর্শিতার অভাবে পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেকটা মাঠে মারা যাচ্ছে : সাইফুল হক ●   রাবিপ্রবি’তে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে প্রফেশনাল সিভি রাইটিং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে মদ তৈরির কাচামালসহ আটক-২ ●   জনকথা’র সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান হাফিজুল ●   অপরাধীদের আতঙ্ক ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান ●   রাবিপ্রবি’তে জনতা ব্যাংক পিএলসির এটিএম বুথ উদ্বোধন ●   পার্বতীপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২ : আহত-১ ●   মিরসরাইয়ের ইউএনও জেরিনের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ●   পার্বতীপুরে রেললাইনে সার বোঝাই ট্রাক বিকল : ৩ ঘন্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ ●   পানছড়িতে বিজিবি লোগাং জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ●   চুয়েটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সম্পন্ন ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   চুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত ●   আবুরহাট দুরন্ত সংঘের কমিটি ঘোষণা ●   গণমাধ্যম কমিশন সিলেটের বিভাগীয় কমিটির পরিচিতি সভা ●   বাজার ব্যবস্থা সংস্কার করে জনগণকে রক্ষা করুন : সাইফুল হক ●   রাউজানে ব্যবসায়ী হত্যা ৪৮ ঘণ্টায় হয়নি মামলা ●   মাটিরাঙ্গায় চলাচল রাস্তা বন্ধের অভিযোগ
রাঙামাটি, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ১৯ বছরে পাবনা চিনি মিলের লোকসান ৩০২ কোটি টাকা
প্রথম পাতা » অপরাধ » ১৯ বছরে পাবনা চিনি মিলের লোকসান ৩০২ কোটি টাকা
শনিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

১৯ বছরে পাবনা চিনি মিলের লোকসান ৩০২ কোটি টাকা

---ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (১মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৪মি.) গত ১৯ বছরে পাবনা চিনি মিলে পুঞ্জিভ’ত লোকসানের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩০২ কোটি টাকা। ব্যাপক অনিয়ম,দূর্ণীতি,প্রয়োজনীয় আখ না পাওয়া,আখ চাষের উপযোগী জমিতে ফলমূল ও সবজি চাষ করা এবং শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে এ লোকসান হয়েছে।

মিলের শ্রমিক কর্মচারী,কৃষক,এলাকাবাসী ও মিলের দায়িত্বশীল একাধিক সুত্রের দেওয়া অভিযোগে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে ১৯৯৭-৯৮ মাড়াই মৌসুমে পাবনা চিনি মিলে প্রথম আখ মাড়াই শুরু হয়। মাড়াই শুরুর পর থেকেই কতিপয় সিবিএ নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তদের যোগসাজসে শুরু করা হয় নানা প্রকার অনিয়ম দূর্ণীতি। অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত নানা খাতে বিল ভাউচার করে অতিরিক্ত বিল তোলা, আখ ওজনের ওয়ে ব্রীজে ঘাপলা করে মিলকে ও কৃষককে ফাঁকি দেওয়া, আখ বহণকারী ট্রাকটরের অতিরিক্ত তেলের ভাউচার করে বিল তোলাসহ নানাভাবে মিলের চাকা লোকসানের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। প্রয়োজন মত আখ চাষীদের আখচাষে উৎসাহিত করা হয়নি। আখের মূল্য কম দিয়ে কৃষকদের আখ চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি আখক্রয় কেন্দ্রে ওজনে ঘাপলা করে মিল ও চাষীদের ঠকানো হয়েছে। অনেক কর্মচারি ডিউটি না করে খাতা স্বাক্ষর করে বেতনসহ নানাবিদ সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। প্রকৌশলী শাখায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন উন্নয়মুলক কাজে অনিয়ম দূর্ণীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সিষ্টেম করে টেন্ডার ছাড়াই কাজ করানো হয়েছে। একইভাবে গ্যারেজ ইঞ্জিনিয়ারের যোগসাজসে তেল কেনা থেকে শুরু করে নানা প্রকার যন্ত্র পাতি ক্রয়ে অতিরিক্ত মুল্যের ভাউচার দাখিল করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছেন। এমনিভাবে মিলের মুলাসেস ও উন্নয়ন মুলক কাজের ক্ষেত্রেও নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতি করা হয়েছে। পুর্জি নিয়েও কৃষকদের সাথে বেইমানী করে সিন্ডিকেডের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আখ চাষীদের সুযোগ সুবিধা না দেওয়া ও আখ চাষে সঠিকভাবে উৎসাহিত করতে না পারায় মিল কোন মৌসুমেই প্রয়োজনীয় আখ সংগ্রহ করতে পারেনি। এতে উৎপাদনে মার খেয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ ।

এ ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়নও অন্যতম কারণ। উন্নত জাতের আখ উদ্ভাবন না করতে পারায় চাষীরা ক্ষগ্রিস্থ হয়েছে। একইভাবে মিলের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধা না পেয়ে চাষিরা আখের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার সবজি ও ফল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। এটাও মিলের লোকসানের একটি কারণ। নীচু জমিতে আখ চাষ করায় মিলের চিনি আহরণের হার ক্রমেই কমে যাচ্ছে। গত ১৫-১৬ মাড়াই মৌসুমে চিনি আহরণের হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৯৩ । চলতি ১৬-১৭ মাড়াই মৌসুমে চিনি আহরণের হার শতকরা ৫ দশমিক ৩৫ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিলকে সচল রাখতে হলে কমপক্ষে চিনি আহরণের হার শতকর ৮ এর অধিক হওয়া দরকার। এসব কারণে মিল কর্তৃপক্ষ লাভের মুখ দেখেনি। ফলে অদ্যবধি মিলের পুঞ্জিভ’ত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০২ কোটি টাকা। ১৯ বছরে মিল মোটা অংকের টাকা লোকসান দিলেও মিলের সাথে সম্পৃক্ত অনেকেই আলিশ্বান বাড়ি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। অনেকেই মোটা অংকের টাকা ব্যাংক ব্যালান্স করেছেন। দূর্ণীতিমুক্ত সৎ ও দায়িত্বশীল এবং নিরপেক্ষ ব্যাক্তিদের দিয়ে তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
পাবনা চিনি মিলের বর্তমান এমডি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, মিলকে বিশাল পরিমাণ লোকসানের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আখের উন্নত জাত প্রয়োজন। আখের মুল্য বাড়ানো দরকার। বহুমুখী উৎপাদন কৌশল এবং নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহনের প্রয়োজন। মিলে রিফাইন সুগার দিয়ে জুস তৈরীর কারখানা করা দরকার। বোতলজাত পানি উৎপাদন করা যেতে পারে। কো-জেনারেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বায়ো ফার্টিলাইজার ও বায়োগ্যাস প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করতে হবে। পাল্প ও মিনি পেপার মিল এবং ডিস্টিলারী ফ্যাক্টরী করা যেতে পারে। আখের দাম অবশ্যই কুইন্টাল প্রতি ৩৭৫ টাকা থেকে ৪’শ টাকা করা দরকার।
ভিন্ন একটিসূত্রমতে,দেশের মোট চিনির চাহিদা ১৬ লাখ মেঃটন। দেশের সব মিলের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেঃ টন। অবশিষ্ঠ ১৪ লাখ মেঃ টন চিনি বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। এই বিশাল পরিমাণ চিনির ঘাটতি পুরণের অজুহাতে একটি সুবিধাবাদি চক্র বিদেশ থেকে র-সুগার আমদানী করে মিলগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করেছে। তবে শিল্প মন্ত্রী ও বিএফএসআইসির বর্তমান চেয়ারম্যানের বিশেষ কৌশলের কারণে সব মিলগুলিতে রক্ষিত অবিক্রিত চিনি বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে মিলগুলিও অনেকটা রক্ষা পেয়েছে।
বর্তমানে দেশের চিনি মিলগুলির অবস্থা নানা কারণেই নাজুক। এ অবস্থায় ১৫-১৬ মাড়াই মৌসুমে দেশে মোট চিনি উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৫৮ হাজার মেঃ টন। অবশিষ্ঠ প্রায় ১২ লাখ ৪০ হাজার মেঃ টন চিনির ঘাটতি পুরনের জন্য বিএসএফআইসির নিয়ন্ত্রণে র-সুগার আমদানী করে দেশের চিনি মিল গুলিতে রিফাইনের মাধ্যমে চিনি উৎপাদন করে বাজার জাত করলেই মিলগুলি লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)