সোমবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » কলেজ শিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ
কলেজ শিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ
নাটোর প্রতিনিধি :: (৩মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৫৫মি.)
নাটোরের লালপুরে কলেজ শিক্ষক মোশারফ হোসেনের হত্যাকারীদের ৫ দিন পার হলেও জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে না পারায় সোমবার ১৬ জানুয়ারি লালপুরের শিক্ষক সমাজ লালপুর উপজেলা চত্বরে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় হাজারো মানুষ অংশ নেয় এবং জড়িত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা শেষে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের নিকট স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
সুত্রে জানা যায়, মোহরকয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ড. ইসমত হোসেন ত্রর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন নাটোর জেলা জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারন সম্পাদক হায়দার আলী, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক এ.এস.এম মোকারেবুর রহমান নাসিম, লালপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, গোপালপুর পৌর বি.এম কলেজের অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন ও লালপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন কলেজ শিক্ষক মোশারফ হোসেনকে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ৫ দিন পার হলেও এখনো জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলোন করা হবে।
উল্লেখ্য লালপুর মোহরকয়া ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোশারফ হোসেন গত বৃহস্পতিবার (১২ জানয়ারী) দুপুরে তাঁর বাড়ি রাজশাহী বাঘা উপজেলার পীরগাছা গ্রামে ফিরছিলেন। পথে লালপুর-বাঘা সড়কের তিন খুটি এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে মোশারফকে হোসেনকে (৪২) দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) রাতে নিহতের ছোট ভাই মোফাজ্জল হোসেন তুহিন বাদি হয়ে লালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও ঘাতকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মোশারফের স্ত্রী রিমা খাতুন পীরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাঁদের সংসারে সাড়ে পাঁচ বছর বয়সের ছেলে ও দেড় বছর বয়সের মেয়ে রয়েছে। শিশুরা এখনো জানে না তারা বাবাহারা হয়েছে। স্ত্রী রিমা খাতুন বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আর আহাজারি করছেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ওবায়েদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।