সোমবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বাগেরহাটে ঘাতক পরিবহন কেড়ে নিলো ৫টি জীবন : অসুস্থ্য কন্যাকে শেষ দেখা হলো না শেখা বেগমের
বাগেরহাটে ঘাতক পরিবহন কেড়ে নিলো ৫টি জীবন : অসুস্থ্য কন্যাকে শেষ দেখা হলো না শেখা বেগমের
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: (৩মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৪মি.) একমাত্র কন্যা সন্তানের অসুস্থ্যতার খবর শুনে স্বামী-পুত্র-কন্যা ও নাতনীকে সাথে নিয়ে জামাই বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়া হলো না শেখা বেগমের। ঘাতক পরিবাহনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৪জনসহ ৫জনের।
মর্মান্তিক ও স্প্রর্সকাতর ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের ফাকিরহাট উপজেলার মুলঘর ইউনিয়নের কাকাডাঙ্গা মোড়ে। কন্যার সাথে শেষ দেখা টুকুও করতে পারলেন না গর্ভধারিনী মা। একমাত্র পুত্র রাজা আহম্মেদ সব হারিয়ে আজ যেন নিঃশ হয়ে পড়েছেন। হৃদয় বিদারক এই মার্মান্তিক ঘটনাটি দেখে কেউ চোখের জল ধরে রাখতে পারন নী। এই কি বিধাতার লিখন। ১৬ জানুয়ারি সোমবার সকালে মোলাহাট উপজেলা কোদালিয়া গ্রামের অটোভ্যান চালক মূতঃ ইয়াছিন এর পুত্র আজাদ আলী (৪৫) তার স্ত্রী শেখা বেগম (৩৫) শিশু কন্যা তামান্না খাতুন (৮) নাতনী রনি (১০) ও পুত্র রাজু আহম্মেদ (১৮)কে সাথে নিয়ে তাদেরী নিজেস্ব অটোভ্যান যোগে রুপসা উপজেলা খাজাডাঙ্গা গ্রামে অসুস্থ্য কন্যাকে দেখতে আসছিলেন। ঢাকা মাওয়া মহাসড়কের কাকডাঙ্গা নামক স্থানে আসলে চট্রগ্রাম গামী কমপোট পরিবহনের (ঢাকা-ব-১৫-০৬৪৬) একটি বাস বেপরোয়া গতীতে তাদেরকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ফলে ঘটনা স্থলেই প্রাণ হারান একই পরিবারের স্বামী আজাদ, স্ত্রী শেখা,বেগম, শিশু কন্যা তামান্না ও নাতনী রনি। নিথর ৪টি দেহ পড়ে থাকে রাস্তার পার্শ্বে।
এসময় গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় রাজু আহম্মেদকে স্থানীয়রা মুমুর্য অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি মূত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশ কাটাখালী থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচাজ (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন শেখ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের লাশ দেখতে কাটাখালী হাইওয়ে থানায় শতশত নারী পুরুষ বৃদ্ধ বৃদ্ধা ভিড় জমাচ্ছেন।
এদিকে গত রবিবার রাতে লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া মাইট কুমরা গ্রামের মূতঃ নিমাই কুন্ডুর পুত্র চাউল ব্যাবসায়ী অশোক কুন্ডু (৪৫) নিহত হয়েছেন।
দিন রাতে তিনি ফয়লা গ্রামের বোনের বাড়ী বেড়িয়ে বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ীতে ফিরে আসার সময় পিকাপের ধাক্কায় ঘটনা স্থলেই তিনি নিহত হয়েছেন।
ঘটনার খবর শুনে যশোর হাইওয়ে পুলিশের এএসপি সার্কেল মো. মোজাম্মেল হক ঘটনা স্থল পরির্দশন করেছেন।
থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবহনের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪জন নিহতের ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।