বুধবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৫মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৪মি.) গাজীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ১৮ বছর পর দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্তদের ১০হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কাপাসিয়া উপজেলার ভিটিরটেক এলাকার আফসার উদ্দিন ও তার স্ত্রী রওশনারা।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী গাজীপুর জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. মকবুল হোসেন কাজল সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, কাপাসিয়া উপজেলার ভিটিরটেক এলাকায় জমির আইল কাটা নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২৩ জানুয়ারি দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুনের সঙ্গে আফসার উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোসাঃ রওশন আরা এবং মাইনুদ্দিন ও তার স্ত্রী জরিনা খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে মাইন উদ্দিন ও তার স্ত্রী রওশন আরা তাদের ভাই সফিউদ্দিনকে দা দিয়ে ও ভাবী রহিমা খাতুনকে কোদাল দিয়ে আঘাত করলে সফিউদ্দিন ও রহিমা খাতুন গুরুতর জখম হন। তাদের প্রথমে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছর ৩০ জানুয়ারি রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই ফাইজুদ্দিন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আফসার উদ্দিন, মাইনুদ্দিন, রওশনা আরা ও জরিনাকে আসামি করা হয়। পরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। কাপাসিয়া থানা পুলিশের এএসআই মো. আবু হানিফ ১৯৯৮ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা চলাকালে ২০১১ সালে মাইনুদ্দিন ও তার স্ত্রী জরিনা মৃত্যুবরণ করায় তাদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বাদী পক্ষের ১৬জনের সাক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘ শুনানির পর বুধবার দুপুরে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এসময় আসামি আফসার উদ্দিন ও তার স্ত্রী রওশন আরা উপস্থিত ছিলেন।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট মো. হাফিজ উল্লাহ দর্জি ও আলেয়া আক্তার।