শুক্রবার ● ২০ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে ক্ষমতাসীদের ডাকে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
খাগড়াছড়িতে ক্ষমতাসীদের ডাকে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (৭মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২৬মি.) খাগড়াছড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার রইছ উদ্দিন দুস্কৃতিকারীদের হামলায় গুরতর আহত হয়েছেন। ২০ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার আদালত সড়ক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। রইছ উদ্দিনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নয়ন ময় ত্রিপুর সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিনের বাম হাতের কব্জির পাশে একটি হাড় ভেঙ্গে গেছে।
হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম ও পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম রইছ উদ্দিনকে দেখতে হাসপাতালে যান এবং এ ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারীদের দায়ী করে শ্লোগান দেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম সমর্থিত গ্রুপ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ২০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. রইস উদ্দিন এর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পাজেপ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও সদস্য মংসেপ্রু চৌধুরীকে দায়ী করে তাদের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করে খাগড়াছড়িতে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষনা করেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাতীঁ দলের উপদেষ্টা শফিকুল ইসলাম বকুল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহেদুল আলম, পৌর মেয়র রফিকুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজসহ অংঙ্গ-সংগঠন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা এতে অংশ নেয়।