শনিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনা পৌরসভা মেয়র সাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর নান্না’র দুর্নীতির অভিযোগ
বরগুনা পৌরসভা মেয়র সাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর নান্না’র দুর্নীতির অভিযোগ
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৮মাঘ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪০মি.) বরগুনা পৌরসভা’য় বসবাসরত সকল নাগরিকদের পানির লাইনে মিটার স্থাপনে মেয়রের দুর্নীতি ও সাধারন গ্রাহকদের অনিয়মতান্ত্রিক অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকের ওয়ালে অভিযোগ করেছেন একই পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম নান্না।
শহিদুল ইসলাম নান্না উল্লেখ করেন “বরগুনা পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানির অপচয় রোধে কয়েক মাস আগে আমরা পৌরসভার সাধারন সভায় সকল কাউন্সিলর ও মেয়র সহ সিদ্ধান্ত গ্রহন করি যে টেন্ডারের মাধ্যমে পৌরসভার সকল পনির গ্রাহকগনের লাইনে মিটার স্থাপন করব। সে অনুযায়ী সকল পদক্ষেপ গ্রহন করে টেন্ডার দিলে বর্তমান মেয়র মো. সাহাদাত হোসেন বেনামে এই টেন্ডার নিজেই নিয়ে নেন। যদিও এই কাজ পাওয়ার কথা নিয়মানুসারে কোন ঠিকাদার প্রতিস্ঠানের। যদিও তাতে আমাদের কোন আপত্তি ছিল না। পরবর্তীতে আমি সহ আরো কয়েকজন কাউন্সিলর পানির মিটারের বাজার দর পর্যবেক্ষন করলে দেখতে পাই সব থেকে উন্নত মানের পিতলের মিটারের দাম ১৫০০/- টাকা এবং মধ্য মানের মিটারের দাম ৪৫০/- ও নিন্মমানের মিটারের দাম ৩৫০/- টাকা।
আমাদের আপত্তির স্থান এখান থেকেই শুরু হয় মেয়র মো: সাহাদাত হোসেন তিনি প্রতি গ্রাহকের নিকট ১/২ ইন্সি লাইনে ২৫০০/- এবং ৩/৪ ইন্সি লাইনে ৩০০০/- টাকা দর নির্ধারণ করে সাম্প্রতি ৪০০ লাইনে মিটার স্থাপন করেন ( মিটারের ছবি সংযুক্ত )। পৌরসভার কাউন্সিলর হিসাবে আমরা স্থাপনকৃত মিটারে চালান ও ক্রয় উৎস জানতে চাইলে মেয়র সাহেব তালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে নিজ উদ্যোগে মেয়র কর্তৃক ক্রয়কৃত মিটারের বাজার দর দেখতে পাই ৫ ডলার বা ৪০০ টাকা (অনলাইন মার্কেট আলিবাবা ডট কম ) ছবি সংযুক্ত।
যাহা শতভাগ দুর্নীতির সামিল। পৌরসভার নাগরীকগন যে কমিটমেন্ট ও আশা নিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন সেখানে আমি এই দুর্নীতি সমর্থন করতে পারি না। আমি এর আগেও ১/১১ এর তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২ বছর সহ ১৭ বছর কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু কোন দুর্নীতির সমর্থন করি নাই এবারও করব না ইনশা আল্লাহ। বর্তমানে পৌরসভার পানির গ্রাহক আছেন ৪২২২ জন। সেই হিসাবে ৭ থেকে ৮ কোটি টাকার দুর্নীতি করে চলেছেন মেয়র। এই দুর্নীতি রুখতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। যদি এই দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ হই তবে পৌরসভা আইন অনুসারে অনাস্থা প্রস্তাব এনে পরিসদ ভেঙ্গে দেয়া ছারা অন্য কোন পথ খোলা থাকবে না। সরকারে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আপনাদের হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী”।
শহিদুল ইসলাম নান্না আরো উল্লেখ করেন “আমি এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় মেয়র মো. সাহাদাত হোসেন আমার প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলেছেন যার জন্য আমার স্বাভাবিক চলাচল নিয়ে শংঙ্কিত হয়ে পরেছি”।
বিষয়টি নিয়ে বরগুনা পৌরসভায় এখন আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। বরগুনা পৌরসভার সাধারন নাগরিক মেয়রের এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হয়ে শহিদুল ইসলাম নান্নার মনোবল বাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেক নাগরিক। আবার অনেকে মনে করছেন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেআইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। তবে সচেতন মহলের ধারনা যে কোন ভাবে মেয়রের এই দুর্ণীতির মূলোৎপাটন করা না গেলে বরগুনা পৌরসভা জনরোষে আক্রান্ত হয়ে বরগুনা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইনে তথা সাধারন জনগণের সাথে প্রতারনা করা হবে।