সোমবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাঙামাটিতে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা
রাঙামাটিতে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১০মাঘ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৬মি.) রাঙামাটিতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করার পায়তারা করছে একটি মহল। এই মহলটির নেতৃত্ব দিয়ে শহরে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। দীর্ঘদিন রাঙামাটি শহর শান্ত থাকার পর পাহাড়ি - বাঙ্গালি’র ঐক্য’র শহর রাঙামাটির দিকে কু -নজর পরেছে এই চক্রান্তকারীদের। পাহাড়ী বাঙালী সম্প্রীতির এই শহরে সংঘাত হানাহানি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এই শান্ত সম্প্রীতি তে গা জ্বালা ধরেছে ব্যবসায়ী নামধারী ফুথপাট দখলদার রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান গংদের।
নানিয়ারচর উপজেলায় ২৩ জানুয়ারি সোমবার ভোরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সদস্যরা চাঁদার দাবিতে মালবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার জের ধরে নানিয়ারচর থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরে রাঙামাটি শহরে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে মোটর সাইকেল ও সিএনজি ভাংচুর উদ্যোগ কতটুকু যৌক্তিক ?
জেলার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বলেন, শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান সাধারন চালক ও শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে একত্র করে শহরে মোটর সাইকেল ভাংচুর, যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনসাধারনের চলাচলের বাঁধা সৃষ্টি করে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত না করে নানিয়ার চরের মতো অপ্রীতিকর কোন ঘটনা রাঙামাটি শহরে যেন না ঘটে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে সাধারন চালক শ্রমিকদের সতর্ক ও সচেতনতামুলক বা প্রতিবাদমুলক কর্মসুচি রাখতে পারতো, তা না করে মোটর সাইকেল ও সিএনজি ভাংচুর, রাঙামাটি - চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ করা, অরাজকতা সৃষ্টি সর্বোপরী জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করার নেতৃত্ব দেয়া কোনমতে যৌক্তিক ও আইনসিদ্ধ নয়। রাঙামাটি শহরের সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, চালকরা প্রতিবাদ করতে চাইলে ঘটনাস্থলে গিয়ে অথবা রাঙামাটি শহরে সুষ্ঠুভাবে প্রতিবাদ করা যেত। শহরের আইন শৃংখলা বিঘ্ন ঘটিয়ে সাধারন শ্রমজিবীদের রাস্তায় নামিয়ে আনার যৌক্তিকতা নাই। শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান মুলতঃ একজন ব্যবসায়ী সে কোন চালক বা শ্রমিক নয়।
রাঙামাটি শহরে তো ইউপিডিএফ এর কর্তৃত্বও চোখে পরেনা, তাহলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সামনে মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর নিশ্চয় ভয়ানক ও অপ্রীতিকর কিছু ঈঙ্গিত করছে বলে সচেতন নাগরিক সমাজের এক প্রতিনিধি শংকা প্রকাশ করেন ।
রাঙামাটি শহরের স্থানীয়রা বলেন, শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান একজন অপেশাদার চালক হয়ে সাধারন পেশাদার চালকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভাল কথা, ৫০ কিলোমিটার দুরে অপ্রীতিকর ঘটনায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে ঘটনা সামাল দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে, স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা না করে উল্টা শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, মোটর সাইকেল ভাংচুর, যান চলাচল বন্ধ করা কোনমতে কাম্য নয়। শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান সাধারন চালকদের নেতৃত্ব দিয়ে শহরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটিয়ে নানিয়ারচরের ঘটনাকে প্রতিবাদ নয় বরঞ্চ পুরো জেলায় এধরনের ঘটনার বিষ্ফোরন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। একটা ঘটনার জের ধরে আরেকটা অপ্রীতিকর ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে কোন সমাধান আশা করা যায়না। এতে জটিলতা বাড়েমাত্র। সাধারন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য নৈরাজ্য সৃষ্টির চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ শতভাগ গুরুত্ব দেয়।
এবিষয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতি, রাঙামাটি ট্রাক চালক সমিতি ও কার মাইক্রো শ্রমিক সমিতির সদস্যরা সোমবার দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে তাদের প্রতিবাদ সমাবেশে একটি মোটর সাইকেল প্রবেশ করায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে মোটর সাইকেল ও অটোরিক্সা ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। কিন্তু আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাঁধা দেয়াতে বড় ধরনের ভাংচুরের ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
ওসি আরো বলেন রাঙামাটি শহরে এখন যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য ২৩ জানুয়ারি সোমবার ভোরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদার দাবিতে মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারিরা, ঘটনার জের ধরে রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে শহরের সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে একটি মোটর সাইকেল ও কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুরের চেষ্টা চালায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন, কার মাইক্রো শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় চালক ও শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।