শুক্রবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আদালত অবমাননা নোটিশ
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আদালত অবমাননা নোটিশ
সিলেট প্রতিনিধি :: (১৪ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০৪মি.) সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
২৫ জানুয়ারি বুধবার বেলার আইনজীবী খন্দাকর নীলিমা ইয়াসমিন প্রেরিত নোটিশে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, খনিজ ও জ্বালানী বিভাগের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেটের জেলা প্রশাসক, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় অফিসের পরিচালক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওয়াকফ প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় মেসার্স বসির কোম্পানীর স্বত্তাধিকারীকে বিবাদী করা হয়েছে।
বেলার আইনজীবী জানান, পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়েই কোম্পানীগঞ্জের চিকাডহর মৌজায় অবস্থিত আরফিন টিলা কাটার বিরুদ্ধে বেলা ২০০৯ সালে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি জনস্বার্থমূলক মামলা (নং ৫৮৭৩/২০০৯) দায়ের করে।
মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে শাহ আরফিন টিলা কর্তনের দায়ে ১০নং বিবাদীর (১০ নং নোটিশ গ্রহীতা মোহাম্মদ আলী, স্বত্তাধিকারী, মেসার্স বসির কোম্পানী, গ্রাম কাঠাল বাড়ি, কোম্পানিগঞ্জ, সিলেট) বিরুদ্ধে রূল জারি করেন এবং টিলা কাটার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করেন যা এখনো বলবৎ আছে।
আদালতের এমন সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্তেও অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার টিলা খুঁড়ে পাথর উত্তোলনের সময় টিলার কিছু অংশ ধ্বসে পড়ে ছয়জন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আদালতের নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে অমান্য করে টিলা কর্তন করে পাথর উত্তোলনের কাজ এখনো অব্যাহত থাকায় ১৩৭.৫০ একর টিলার অনেকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এহেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে এবং অবিলম্বে শাহ আরফিন টিলা কাটা বন্ধ করতে সেই সাথে, টিলা কর্তনকালে ক্ষতিগ্রস্ত নিহত ও আহত পাথর শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিবাদীগণের উপর এ আদালত অবমাননার নোটিশ প্রেরণ করেছে বেলা।