সোমবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ৫৭ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেন সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন
৫৭ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেন সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৭ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.১২মি.) ৫৭ (২) ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়েরকৃত হয়রানিমুলক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেলেন সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন।
৩০ জানুয়ারি সোমবার মহামান্য হাই কোর্ট এর মাননীয় বিচারপতি ওবাইদুল হাসান ও মাননীয় বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে নিয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ শুনানী শেষে এ রায় দেন।
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলনের মামলার জামিন আবেদন এর পক্ষে লড়েন আইনজীবি এডভোকেট মো. খাইরুল আলম ও এডভোকেট সঞ্চয় কুমার কুন্ডু । সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলনের মামলার জামিন তদবিরকারী ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ পোর্টাল এ্যালায়েন্স এর চেয়ারম্যান ও জাতীয় অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রযুক্তিবিদ ড. মো. জানে আলম রাবিদ পিএইচডি।
শুনানীর সময় উচ্চ আদালতে সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারি সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন এর সম্পাদিত জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এ অত্যন্ত জনবান্ধব এবং জনস্বার্থে প্রকাশিত “রাঙামাটিতে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা” শিরোনামে সংবাদের প্রেক্ষিতে ২৪ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাঙামাটি কোতয়ালি থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে ৫৭(২) ধারায় হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করেন রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। মামলা নং ১১। তারিখ ২৪/০১/২০১৭। তিনঘন্টার ব্যবধানে ২৫ জানুয়ারি রাত ১টার সময় গ্রেফতারের নামে সন্ত্রাসী কায়দায় বাসায় তান্ডব চালায় অনুমানিক ৩০ জনের মত একটি দল।
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও পুর্ণ বিশ্বাস রেখে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গত ২৯ জানুয়ারি সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলনের পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবি এডভোকেট মো. খাইরুল আলম ও এ্যাডভোকেট সঞ্চয় কুমার কুন্ডু।
ইন্টারন্যাশনাল নিউজ পোর্টাল এ্যালায়েন্স, যে সমস্ত নিউজ পোর্টালের মালিক, সাংবাদিক , জাতীয় অনলাইন প্রেস ক্লাব এর নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন এর নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠন সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা সহযোগিতা করেছেন এবং যারা এ হয়রানিমুলক মামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সিএইচটি মিডিয়া পরিবারের মনোবল বৃদ্ধি করেছেন সকলকে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম পত্রিকার পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
যে সংবাদে মামলা হলো :
রাঙামাটিতে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটিতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করার পায়তারা করছে একটি মহল। এই মহলটির নেতৃত্ব দিয়ে শহরে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। দীর্ঘদিন রাঙামাটি শহর শান্ত থাকার পর ঐক্য’র শহর রাঙামাটির দিকে কু -নজর পরেছে এই চক্রান্তকারীদের। পাহাড়ী বাঙালী সম্প্রীতির এই শহরে সংঘাত হানাহানি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এই শান্ত সম্প্রীতি তে গা জ্বালা ধরেছে ব্যবসায়ী নামধারী ফুথপাট দখলদার রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের।
নানিয়ারচর উপজেলায় ২৩ জানুয়ারি সোমবার ভোরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সদস্যরা চাঁদার মালবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার জের ধরে নানিয়ারচর থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরে রাঙামাটি শহরে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে মোটর সাইকেল ও সিএনজি ভাংচুর উদ্যোগ কতটুকু যৌক্তিক ? শহরবাসীর প্রশ্ন।
জেলার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বলেন, শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান সাধারন চালক ও শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে একত্র করে শহরে মোটর সাইকেল ভাংচুর, যান চলাচল বন্ধ করে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত না করে নানিয়ার চরের মতো অপ্রীতিকর কোন ঘটনা রাঙামাটি শহরে যেন না ঘটে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে সাধারন চালক শ্রমিকদের সতর্ক ও সচেতনতামুলক কর্মসুচি রাখতে পারতো, তা না করে মোটর সাইকেল ও সিএনজি ভাংচুর, যান চলাচল বন্ধ করা, অরাজকতা সৃষ্টি সর্বোপরী জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করার নেতৃত্ব দেয়া কোনমতে যৌক্তিক ও আইনসিদ্ধ নয়। প্রতিবাদ করতে চাইলে ঘটনাস্থলে গিয়ে অথবা রাঙামাটি শহরে সুষ্ঠুভাবে প্রতিবাদ করা যেত। তাছাড়া রাঙামাটি শহরে তো ইউপিডিএফ এর কর্তৃত্বও চোখে পরেনা, তাহলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সামনে মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর নিশ্চয় ভয়ানক ও অপ্রীতিকর কিছু ঈঙ্গিত করছে।
নিরাপদ সড়ক চাই রাঙামাটি জেলা সংগঠক বলেন, শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান একজন অপেশাদার চালক হয়ে সাধারন পেশাদারচালকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভাল কথা, ৫০ কিলোমিটার দুরে অপ্রীতিকর ঘটনায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে ঘটনা সামাল দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, মোটর সাইকেল ভাংচুর, যান চলাচল বন্ধ করা কোনমতে কাম্য নয়। শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান সাধারন চালকদের নেতৃত্ব দিয়ে শহরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটিয়ে নানিয়ারচরের ঘটনাকে প্রতিবাদ নয় বরঞ্চ পুরো জেলায় এধরনের ঘটনার বিষ্ফোরন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। একটা ঘটনার জের ধরে আরেকটা অপ্রীতিকর ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে কোন সমাধান আশা করা যায়না। এতে জটিলতা বাড়েমাত্র। তাদের লক্কর-ঝক্কর গাড়ীতে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেলে, সকাল বিকাল ভাড়া বিড়ম্বনা হলে পাবলিক রাস্তায় তো নামেনা। কারণ সাধারন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য নৈরাজ্য সৃষ্টির চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ শতভাগ গুরুত্ব দেয়, বলেন তিনি।
উল্লেখ্য ২৩ জানুয়ারি সোমবার ভোরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদার দাবিতে মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয়, ঘটনার জের ধরে রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে শহরের সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে একটি মোটর সাইকেল ও কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। কিন্তু জেলা পুলিশের কর্মদক্ষতা ও আইন শৃংখলা রক্ষায় দায়িত্বের প্রতি অবিচল গুনের কারণে মোটর সাইকেল ও কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুরের চেষ্টাসহ শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান,রাঙামাটি ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন, কার মাইক্রো শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় চালক ও শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। (এই সংবাদের ছবি সংরক্ষিত রয়েছে)।