সোমবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বিএসআরআইতে শস্য গবেষণার নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে
বিএসআরআইতে শস্য গবেষণার নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (১৭ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১৭মি.) শস্য গবেষণার নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে। দেশবাসীর সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। এই অর্থ লোপাট ও দেশবাসির সাথে প্রতারণার কাজটি করে যাচ্ছে বিএসআরআই এর কীটতত্ত্ব বিভাগ। একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে ইক্ষু গবেষণার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং অর্থ রোপাটের কাজ অব্যাহত রেখেছে। ঐ চক্রের অনেক সদস্য গবেষণার নামে নিজেদের উন্নতির জন্য সরকারী টাকায় ডক্টরেটসহ বিভিন্ন ডিগ্রী লাভ করে বড় বড় পদ দখল করে দেশের ক্ষতি করছে। আখ সংকটে যখন দেশের ১৫ টি চিনি মিল ও আখ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ,তখন ঐ চক্রের কর্তারা ষড়যন্ত্র করে ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউটের নাম পরিবর্তণ করে ক্রপ গবেষণা ইনষ্টিটিউট করে দেশবাসিকে ধোকা দিচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি সোমবার পাবনা চিনি মিলে আয়োজিত পাসুমির ওয়াকার্স ইউনিয়নের নব নির্বাচিত পরিষদের অভিষেক ও আখ চাষী সমাবেশের বক্তব্যে আখচাষী মুরাদ আলী মালিথাসহ ভুক্তভোগী চাষীরা এসব কথা বলেন।
এ সময় সমাবেশে বিএফএসআইসির চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ,প্রধান বক্তা হিসাবে ভুমিমন্ত্রীর স্ত্রী ও মহিলালীগ সভাপতি কামরুন্নাহার শরীফ উপস্থিত ছিলেন। পাসুমির এমডি প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বিএসএফআইসির পরিচালক সিডিআর আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান,আখ চাষী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত পেপে চাষী আলহাজ্ব শাজাহান আলী বাদশা ,নাটোর চিনি মিলের এমডি শহিদুল্লাহসহ পাবনা চিনি মিলের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বক্তারা ব্সিআরআইয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, কি গবেষণা করেন যে,স্টেম বোরার মত পোকা আখ ক্ষেত ধবংস করে দেয়। কোন বিষেই স্টেমবোরা পোকা মরেনা ? একবিঘা জমিতে ৩ গাড়ির বেশী আখ উৎপাদন হয়না। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,রংপুরের মঙ্গা প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট হজম করার জন্য তাল ও গোলপাতাসহ অন্যান্য বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অথচ আখ চাষের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছেনা। গবেষণা করে আখের নতুন জাতও আবিস্কার করা হচ্ছেনা। মান্ধাতার আমলে উদ্ভাবিত আখের বীজ দিয়েই দেশে আখ চাষ করা হচ্ছে। তারা বলেন, নতু নতুন আখের জাত আবিস্কার করতে না পারলে আখের উৎপাদন বাড়বেনা। চাষিরা আখ চাষ করবেনা। চিনি মিলগুলোও লাভ করতে পারবেনা।