রবিবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বেতাগীতে চলছে মাদকসেবীদের নিরাপদ বানিজ্য
বেতাগীতে চলছে মাদকসেবীদের নিরাপদ বানিজ্য
বরগুনা প্রতিনিধি :: (২৩ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১০মি.) মাদক পিছু ছাড়ছে না বেতাগী উপজেলাবাসীর। ছোবলে নীল হচ্ছে যুব সমাজ। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের কাছে অসহায় স্থানীয়রা।
দেড় লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ জনপদের সর্বত্র ছেয়ে গেছে মাদকে। যুবসমাজের পাশাপাশি কলেজ, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও আসক্ত হয়ে পড়েছে। দিন দিন বাড়ছে এদের সংখ্যা। এমনকি শিশু-কিশোররাও কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে পড়ছে।
এদের গন্তব্য কোথায় বলা মুশকিল। উপজেলা প্রশাসনের তত্পরতা, পুলিশের রেড-অ্যালার্ট, আলোচনা সভা ও লেখালেখি কোনো কিছুই কাজে আসছে না। বরং পৌর শহর, প্রত্যন্ত পল্লীর অলি-গলি ও হাঁট-বাজার সবখানেই ওদের অবাধ বিচরণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের সাথে এদের সংখ্যতা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ব্যাপক নেটওয়ার্ক। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিবাদের ঘটনা নতুন নয়, কিন্তু এখন তারাও অসহায়। ইতোপূর্বে উপজেলার ভোলানাথপুর ও পূর্ব বেতাগী গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ করতে যেয়ে অনেকে মামলায় জড়িয়েছেন। তাই গাঁজা ব্যবসায়ীর ভয়ে তারা ভীতসন্ত্রস্ত। কখন কোথায় তাদের আবার নতুন মামলায় জড়ানো হয়। উপজেলার একটি পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে প্রায় সর্বত্র গাঁজাসেবী ও ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পুরাতন থানা সংলগ্ন বিষখালী নদীর পাড়, ২নং ওয়ার্ডের বাংলালিংক টাওয়ার, পূর্ব বেতাগী স্লুইজ গেট, ৩নং ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড, মহিলা মাদ্রাসা, ৪নং ওয়ার্ডের পৌর ভবন, বেড়িবাঁধ, বেতাগী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর, বেতাগী ডিগ্রী কলেজ চত্বর, ৭নং ওয়ার্ডের কচুয়া-বেতাগী ফেরিঘাট, বউ বাজার, ৮নং ওয়ার্ডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর, উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর, বেতাগী গার্লস স্কুল সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধ ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অরক্ষিত এলাকায় প্রায়ত্রই কমবেশি গাঁজা সেবীদের আখড়া বসে।
এছড়াও গ্রাম অঞ্চল গুড়ে দেখা যায়,হোসনাবাদ,মোকামিয়া,কাজিরাবাদ,বুড়ামজুমদাড়,সরিষামুড়ি ইউনিয়ানেে কিছু জঙ্গলে ও মুক্ত পরিবেশে সন্ধার পর-পরই বসানো হয় মাদকসেবীদের বাজার বা. আড্ডা খানা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম মাহমুদুর রহমান জানান, মাদকাসক্তদের কোনো ছাড় নয়, তাদের বিষয়ে প্রশাসন জিরো টলারেন্স। থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।