মঙ্গলবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ইটভাটার কারনে কয়েক হাজার মানুষের জীবন হুমকীর মুখে
ইটভাটার কারনে কয়েক হাজার মানুষের জীবন হুমকীর মুখে
বরগুনা প্রতিনিধি :: (২৫ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ১.২০মি.) ঝালকাঠীর কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার নাম রঘুয়ার চর। বিস্তীর্ন এই এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে প্রভাবশালীদের ৭ টি ইটভাটা । তাদের নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। অনেকের নেই ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স। টিনের চুলি ব্যবহার করে বছরের পর বছর ধরে পুড়ছে কাঠ। তার চাইতেও বড় বিষয় হচ্ছে চরের বন্যা রক্ষা বাঁধের মাটি কেটে পোড়ানো হচ্ছে ইটের ভাটায়। এর ফলে বাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে পানিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কয়েক হাজার মানুষের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হবার কারনে প্রশাসন , সরকারদলীয় রাজনীতিবীদ , সাংবাদিকসহ সকল স্তরকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর ধরে তারা অবৈধ ভাটাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। বাঁধের মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, রঘুয়ার চরের বাঁধের উপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ( এল জি ই ডি) অর্থায়নে নির্মিত একটি ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও বাঁধ কাটার ফলে আশ্রয় কেন্দ্রটি নদীগর্ভে প্রায় বিলীন হতে চলেছে । আশ্রয়কেন্দ্রটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটার শ্রমিকদের অবাসস্থল হিসেবে।
এ বিষয়ে এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহজান মিয়া ও হজরত আলী মাষ্টার জানান, অবৈধ ইটের ভাটা বিরুদ্ধে
যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা ইচ্ছে মত বাঁধের মাটি কেটে কয়েক হাজার মানুষকে হুমকির মুখে ফেলেছেন। এলাকার বাসিীন্দা প্রানী চিকিৎসক রিজওয়ান হাওলাদার জানান, ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হবার কারনে সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শৌলজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ হোসেন রিপর বলেন, কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে টিনের চুল্লি ব্যবহার করে ইটভাটার মালিকরা কাঠ পুড়িয়ে চলছে । তাদের নেই কোন অনুমোদন এমনকি শহীদ মিয়াসহ কয়েকজন ভাটার মালিক ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সও নেননি। ওই এলার সাড়ে চারশো বাড়ি ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সোনারবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে পড়েছে। রঘুয়ার চর, শৌলজালিয়, রঘুয়ার দড়িচর এলাকার মানুষ হুমকির মুখে। বাঁধ কাটার ফলে পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ৭ টি ভাটা দূষনে ওই সকল গ্রামের গাছের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে কোন ফল হচ্ছেনা । ভাটার মালিক মোফাজ্জেল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি পরিবেশের ক্ষতির কথা অস্বীকার করেন। কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ ড. মুহম্মদ ফয়জুল আলম সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, অমার জানা মতে ওই সকল ইটের ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, পরিবেশের ক্ষতি করে এমন চুলি তার ব্যবহার করে অঅসছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।