মঙ্গলবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » মৃত্যু পরোয়ানা শুনলেন মুফতি আব্দুল হান্নানকে
মৃত্যু পরোয়ানা শুনলেন মুফতি আব্দুল হান্নানকে
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৫ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.০৩মি.) সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের মৃত্যু পরোয়ানা কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। দুইদিন আগে তাকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে বলে কারাগার সূত্র নিশ্চিত করেছে।
৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আইনগত সব প্রক্রিয়া শেষ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আপিল বিভাগের রায়টি প্রথমে যায় হাইকোর্টে। হাইকোর্ট হয়ে রায়টি পাঠানো হয় বিচারিক আদালতে। বিচারিক আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার পর তা কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মৃত্যুণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নানকে পড়ে শোনানো হয়।
জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করতে হবে আসামি পক্ষকে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দণ্ডাদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন এবং সর্বশেষ দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন আসামিরা। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিলেই দণ্ডাদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না।
তবে রাষ্ট্র চাইলে দণ্ডাদেশ কার্যকরের প্রস্তুতি নিতে পারে। আসামিরা যদি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন, তবে তাও শুনানির ব্যবস্থা আইনে রয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।
এ মামলার বাকি দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে। দণ্ডিত পাঁচ আসামির সবাই কারাগারে আছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ হরতাকাতুল জিহাদের ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিতে হত্যার পেছনের মূল ব্যক্তি বলা হয় মুফতি হান্নানকে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মুফতি হান্নানের বাড়ি। ২০০০ সালের ২০ জুলাই সেই কোটালীপাড়াতেই শেখ হাসিনার সভামঞ্চের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। মুফতি হান্নান ওই মামলারও আসামি।