বুধবার ● ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » বিশ্বনাথে নদীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি
বিশ্বনাথে নদীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (২৬ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংরাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২২মি.) বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে ‘বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদ’র উদ্যোগে ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদ’র আহবায়ক ফজল খান। তিনি বাসিয়া নদীর সীমানা নির্ধারনের মাধ্যমে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নদী খনন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে ফজল খান বলেন, ঐতিহ্যবাহী খরশ্রোতা বাসিয়া নদী মানব সৃষ্ট দুষনের ফলে মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ও মলমূত্র নদীতে ফেলে এবং চর দখল কের নদীটি এখন সরুখালে পরিণত হয়েছে। বিগত দিনে বাসিয়া নদীর প্রায় ১৮ কিলোমিটার খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ পূর্বক টেন্ডার আহবান করা হয়। কিন্ত ১৯৫৬ সালে এস এ রেকর্ড মোতাবেক নদীর সীমানা চিহিৃত না করেই তরিগড়ি করে শুধুমাত্র নদীর তীর ঘেষে ঘাস পরিস্কার করে খননেন নামে আত্মসাতের অপচেষ্টা করা হয়। এমতাবস্থায় ‘বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদ’ আন্দোলন চালিয়ে যায়।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সামন থেকে পশ্চিম দিকে ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৩ মিটার প্রস্থ নদী খননের টেন্ডার হয় এবং ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে নদী খননের প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্ত নদী খননের পূর্বে সীমানা চিহিৃত করার জন্য বার বার দাবি জানিয়ে আসলেও তা করা হচ্ছে না। রহস্যজনক কারণে জোড়াতালি দিয়ে কোনরকম মাপযোগ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই গত ২৬ জানুয়ারী হতে বিশ্বনাথ বাজারের পশ্চিম দিক থেকে ও কালিগঞ্জ বাজারের পশ্চিম দিক থেকে খন্ড খন্ড করে নদী খনন কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার। খনন করা মাটি কোথায় যাচ্ছে তারও কোন হদিস নেই।
গত ৩ জানুয়ারী উপজেলা পরিষদের অবহিতকরণ সভায় নদী খনন কাজ সম্পন্ন ও অবৈধ দখল উচ্ছেদের লক্ষ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানকে আহবায়ক করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। বৈঠকে ২/১ সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হলেও দীর্ঘ ১মাস অতিবাহিত হয়েছে আহবায়ক কমিটি বা উপজেলা প্রশাসনের কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
লিখিত বক্তব্যে ফজল খান পরিকল্পিতভাবে সীমানা চিহিৃত না করে নদী খনন কাজ শুরু করা রহস্যজনক। তাই সীমানা চিহিৃত ও টেন্ডারের সিডিউল তথ্য অধিকার আইন মোতাবেক জনগণকে অবহিত করে খনন কাজ শুরু করতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহল, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমূদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, সিলেট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) বিভাগীয় সম্বন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা, বিশ্বনাথ পুরান বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মনির মিয়া, কমিশনার আনোয়ার মিয়া, নতুন বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ নবীন সুহেল, কমিশনার এমদাদ হোসেন নাঈম, সাবেক ইউপি সদস্য নুর মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয়, বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সামছুল ইসলাম মুমিন, সদস্য শেখ ফজর রহমান,কাওছার আহমদ বাপ্পী, রাসেল আহমদ, এসপি সেবু, ছাত্রলীগ নেতা মিয়াদ আহমদ প্রমুখ।