বৃহস্পতিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » শিক্ষা কর্মকর্তার পিটুনিতে প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে
শিক্ষা কর্মকর্তার পিটুনিতে প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৭ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১০মি.) গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দল্লাহ আল মামুনকে পিটিয়ে আহত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহাম্মেদ। আহত ওই শিক্ষক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহাম্মেদ বালিগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ কাউছার মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন তথ্য চাইলে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে বলেন। এতে ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মামুনকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে টেবিলে থাকা স্ট্যাপলার ছুড়ে মারলে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করেন। সহকারী শিক্ষকরা আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
প্রধান শিক্ষক সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন আমার কাছে তিনি বিভিন্ন কাগজপত্র চান। এসব গুছিয়ে দিতে একটু দেরি হলে তিনি আমাকে থাপ্পড় মারতে উদ্যত হন। এ সময় তার পাশে থাকা শিক্ষকরা বাধা দেন। কিছুক্ষণ পর আবার উত্তেজিত হয়ে স্ট্যাপলার ছুড়ে মারেন। স্ট্যাপলারের আঘাতে আমার মাথা ফেটে যায়।
একাধিক শিক্ষক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহাম্মেদ একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। শামীম কাপাসিয়ায় কর্মকালে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিদর্শনে স্কুল ছুটির আগেই বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। আর তিন দিনের মধ্যে এর যথাযথ কারণ দর্শানোর কথা বলা হলে ওই শিক্ষক আমার উপর চড়াও হন।
জেলা শিক্ষা অফিসার নারগিস সাজেদা সুলতানা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান বলেন, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং ওই শিক্ষা অফিসারের বিচারের দাবিতে উপজেলা প্রাঙ্গণে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক ও শিক্ষকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।