শনিবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অনুষ্ঠান মিস দিতে নারাজ ওসমানীনগরে প্রার্থীরা
অনুষ্ঠান মিস দিতে নারাজ ওসমানীনগরে প্রার্থীরা
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (২৯ মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫৫মি.) সিলেটের ওসমানীনগরে উপজেলা নির্বাচনের ডামাডোল এখন তুঙ্গে। আগামী ৬মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওসমানীনগরে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এখন ঘুমহীন অবস্থা। কার চাইতে কে বেশি প্রচারণা চালাবেন, সেই প্রতিযোগীতাই চলছে এখন প্রার্থীদের মধ্যে। উপজেলার যেকোনো জায়গায় এখন কোনো অনুষ্ঠান হলেও মিস দিচ্ছেন না কোনোও প্রার্থী। অনুষ্টানে দাওয়াত পাওয়ার পরপরই হাজির হচ্ছেন তারা। নবগঠিত সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের প্রথমবারের মতো নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গত বৃহস্পতিবার ১৩ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদে আতাউর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফেরদৌস খান ও দিলদার আলী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুক্তা পারভীন,বিএনপি মনোনিত চেয়ারম্যান পদে ময়নুল হক চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে গয়াস মিয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুসলিমা আক্তার চৌধুরী এবং জাপা থেকে চেয়ারম্যান পদে শিব্বির আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাবের আহমদ মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ আকামত আলী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন শারমিন আক্তার ও হুছনা বেগম। তবে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করে নাগরিক কমিটির ব্যানারে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দলীয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদৌস খান, উপজেলা যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক দিলাদার আলী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু শুক্রবার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারেন্স না থাকায় আ.লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমানের মনোনয়নপত্র এবং দলীয় মনোনয়নপত্র না থাকায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দিলদার আলী ও ফেরদৌস খানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ আকামত আলী, জাপার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবের আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শারমিন বেগম ও হুছনা বেগমের মনোয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থীরা ভোরে ঘুম থেকে ওঠে শুরু হয় তাঁদের কর্মযজ্ঞ। চলে মধ্য রাত পর্যন্ত। একের পর এক গণসংযোগ আর উঠান বৈঠক করে একেকজন কান্ত হয়ে পড়লেও থেমে থাকেনা তাদের প্রচার-প্রচারণা। কান্তমুখে হাসি ফুটিয়ে মানুষের সঙ্গে হ্যান্ডশেক, কোলাকোলি চালিয়ে যান তারা। এসবের বাইরে প্রত্যেক প্রার্থীই উপজেলার যেকোনো জায়গায় অনুষ্ঠিত সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন আগ্রহভরে। বিবাহ অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খৎনা, জানাজা, ওরুস, ঝিয়াপথ (সিলেটে প্রচলিত একধরনের সিরনি বিতরণ অনুষ্ঠান) সবধরনের অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ কিংবা বিনা আমন্ত্রণেই উপস্থিত হচ্ছেন প্রার্থীরা। এমনও হচ্ছে, একই অনুষ্ঠানে প্রার্থীই আলাদাভাবে একইসময়ে উপস্থিত হয়ে যাচ্ছেন!
এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার সর্বত্রই বেড়ে গেছে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনষ্ঠান। আর সেইসব অনুষ্ঠানের লিখিত কিংবা অলিখিত অতিথি হিসেবে থাকছেন উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা। তবে এসব অনুষ্টানে বেশিরভাগ সময়ে উপস্থিত হতে দেখা যায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। নির্বাচনী তফশিল ঘোষনার পরপরই বিভিন্ন অনুষ্টানে এসব প্রার্থী হাজির হতে শুরু করেন। পরবর্তিত্বে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পরপরই বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্টানে প্রার্থীদের যোগদান চোখে পড়ার মতো।