

সোমবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » ৪৬ বছরেও মান্নান সরদারকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি
৪৬ বছরেও মান্নান সরদারকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (১ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙালা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৮.৫৮মি.) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে ঢাকা থেকে গোলাম রব্বানীকে সাথে নিয়ে জীবনের ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় পতাকা এনে স্থানীয় নেতাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া এবং স্থানীয় নেতাদের সাথে থেকে উত্তোলন কাজে অংশ নেওয়ার পর ৪৬ বছরেও মান্নান সরদারকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
ঈশ্বরদীর সাহাপুর গ্রামের মৃত হারান সরদারের ছেলে প্রায় ৮০ বছর ছুআছুই বয়সী মান্নান সরদার ১৩ ফেব্রয়ারি সোমবার সকালে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে এসব কথা বলেন।
তিনি দুঃখ করে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের কথা ভুলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঢাকায় যায়। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ঢাকা পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষন শুনি। বঙ্গবন্ধুর ভাষনের নির্দেশ মতে, ৪ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর নিকট থেকে ব্রিফকেসে ভরে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত ৪ টি জাতীয় পতাকা এনে ঐদিন রাতেই ঈশ্বরদীর আওয়ামীলীগ নেতা ফকির মো. নুরুল ইসলামের হাতে বুঝিয়ে দিই । পরে ক্যপ্টেইন মনসুরসহ পাবনা ,রাজশাহী ও কুষ্টিয়ার নেতাদের কাছে ৩ টি পতাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অবশিষ্ট পতাকাটি ৫ মার্চ সকাল ১০ টায় রেলওয়ে বুকিং অফিসের ছাদের উপর লোহার পাইপ দিয়ে স্থানীয় নেতারা উত্তোলন করে দেন।
এসময় প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক এমপি মহিউদ্দিন আহমেদ,ফকির মো. নুরুল ইসলাম,নায়েব আলী বিশ্বাস,আব্দুল মান্নান সরদার,গোলাম রব্বানী, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল,আলম মোল্লা ও মোজাফ্ফর হোসেন নকুসহ অনেকেই অংশ নেন।
মান্নান সরদার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে আরও বলেন,মার্চ মাস এলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ঢাকাও ঢাকা থেকে পতাকা নিয়ে ফেরার রাস্তায় পাকবাহিনীর নারকীয় হত্যাকাহিনীর চিত্র। অনেক ভোঁয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকা তালিকাভুক্ত হয়েছে। সরকারী সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
কোন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। তবে ফকির মো. নুরুল ইসলামের কাছে পতাকা এনে দেওয়া হয়েছিল সেজন্য তিনি একটি প্রত্যয়ণ পত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছিলেন। সে মোতাবেক ২০১১ সালের মে মাসের ৮ তারিখে মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় অন্তরর্ভুক্তির জন্য তিনি সর্বশেষ অাবেদন করেও কোন ফল হয়নি বলে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান ।