মঙ্গলবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » বাসিয়া তীরে অবৈধ স্থাপনা রক্ষায় মরিয়া
বাসিয়া তীরে অবৈধ স্থাপনা রক্ষায় মরিয়া
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (২ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙালা : বাংলাদেশ সময় বেলা ১.৫৬মি.) বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বাসিয়া নদী’র দুই তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা রক্ষা করতে ও নদী পুনঃখননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃক দেওয়া প্রাথমিক পরিমাপ (৩৩ মিটার) থেকে মাপ কমানোর জন্য অবৈধ দখলদাররা পায়তারা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই যাতে বাসিয়া নদীর পুনঃখনন কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য বিশ্বনাথ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হক’র নেতৃত্বে নদীর দুই তীরের ১৭২টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলার সদর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠা পাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো রক্ষা করার জন্য অবৈধ দখলদাররা আদালতে রিট করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
বাসিয়ার দুই তীরের সকল অবৈধ দখলদাররা নিজেদের অবৈধ স্থাপনাগুলো রক্ষা করার জন্য ৩ কোটি টাকার একটি ফান্ডও গঠন করেছেন বলেও জানা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে প্ররোচিত করে নিজের অবৈধ স্থাপনা রক্ষা করতে এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকরা বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
এদিকে উপজেলা সদরের সামন থেকে নদীর মাপ নির্ধারণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পুনঃখনন কাজ শুরু করার দাবীতে গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদ। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় প্রশাসনক কর্তৃক চিহ্নিত ওই ১৭২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই যাতে সুষ্ঠভাবে বাসিয়া নদীর পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন হয়, সেজন্য নদীর দুই তীরে গড়ে উঠা ১৭২টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরী করার পর তা উচ্ছেদের জন্য উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সে প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট’র প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাসিয়া নদীর পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বর্তমানে নদীর মাপ নির্ধারণে জরিপ কাজ চলছে। জরিপ কাজ সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে পুনঃখননের কাজ শুরু হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে যে মাপ নির্ধারণ করা হবে, তা কমানো কিংবা বাড়ানোর কোন সুযোগ আমাদের হাতে নেই।