বুধবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনায় ভুয়া মামলা দিয়ে জেলে প্রেরন
বরগুনায় ভুয়া মামলা দিয়ে জেলে প্রেরন
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৩ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙালা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২২মি.) দরিদ্র প্রতিবেশীর সাত একর জমির উপর দখলদারের নজর। অতঃপর ভুয়া চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জমির প্রকৃত মালিকসহ চারজনকে কারাগারে প্রেরণ।
এরপর সালেহার সাত একর জমি দখলে নিয়েছে প্রতিবেশী আতাহার মোল্লার বাহিনী।
লুটতরাজ ও ভাঙচুর চালিয়ে লণ্ডভণ্ড করেছে সালেহা ও গনিমিয়ার বসতি। বাড়ির উপরেই চালিয়েছে ট্রাকটরের লাঙলের ফলা। রাতের আঁধারেই চষে ফেলেছে বসতভিটা।
এমন রাহজানির ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পশ্চিম রায়েরতবক গ্রামে। সাত একর জমির দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল গনিমিয়া ও সালেহার সাথে আতাহার মোল্লার পরিবারের। ২০০৮ সাল থেকে যা নিয়ে মামলাও শুরু হয়। অতঃপর ২০১৫ সালে হাই কোর্ট জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে দুই ভাইবোন গনিমিয়া ও সালেহার পক্ষেই রায় প্রদান করেন। সেই থেকেই জমিতে বসতি স্থাপন করে চাষাবাদ করে আসছিল বিজিতরা।
তবে উচ্চ আদালতের রায় পক্ষে না গেলেও, ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি আতাহার মোল্লা বাহিনীর। হেনস্ত করতে দায়ের করতে থাকে একের পর এক মামলা। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে, সহযোগী এড্যভোকেট আঞ্জুমানারার সহায়তায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ধর্মের অবমামনার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। যাতে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে ৩১ জানুয়ারী গনিমিয়া, সালেহা, নিজাম ও ফিজিরকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।
বাড়ির সক্ষম লোকজনের অনুপস্থিতির এই সুযোগের পুরোপুরি ফায়দা তোলে আতাহার মোল্লা। মঙ্গলবার রাতেই হানা দেয় সালেহাদের বসতিতে। নির্বিচারে চালিয়ে যায় লুটতরাজ। ভাঙচুর করে বসতবাড়ি। মারধোর করে নারি-শিশু সহ উপস্থিত সবাইকে। কলের লাঙল দিয়ে চষে ফেলে ভিটেমাটি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে গত ৩১ জানুয়ারী, মঙ্গলবার রাতে আতাহার মোল্লা, হারুন মুন্সী, শাহজাহান ফকির, সুলতান গাজী ও হাবিব মোল্লাসহ দশ বারো জনের একটি বাহিনী এই ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটতরাজ চালায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তাদের নির্দেশনা দেন এড্যভোকেট আঞ্জুমানারা। একজন আইনজীবী হয়েও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার পাশাপাশি লুটতরাজে নেতৃত্ব দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এলাকাবাসী।