বুধবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনায় কিশোরী ধর্ষন : ৫ মাসের অন্তসত্তা
বরগুনায় কিশোরী ধর্ষন : ৫ মাসের অন্তসত্তা
বরগুনা প্রতিনিধি :: (৩ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.০৬মি.) বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের বদরখালী গ্রামে বিবাহর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন। অতপর ৫মাসের অন্তসত্তা। স্থানীয়রা জানান বদরখালী
গ্রামের মো. শহিদ মাতুব্বার এর কনিষ্ঠ কন্যা মোসাঃ সুলতানা (১৬) কে একই গ্রামের মৃত্যু মোসলেম বয়াতীর নারী লোভী পুএ মো. মনু বয়াতী (৫০) বিবাহর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওৎ পেতে কিশোরীকে ধর্ষন করে।
তারই ফসল ৫মাসের অন্তসত্তা হয়ে পরে ঐ কিশোরী। কিশোরী বলে আমার যাওয়া আসার পথে আমার গতিপথ লক্ষ করে ওৎ পেতে থাকত। আমাকে সামনে পেয়ে তার যৌন নিবারন করার জন্য আমাকে বিবাহর প্রস্তাব দেয়। তার কোন প্রস্তাবে রাজি না হলে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। ঘটনার প্রথম দিন দুপুর বেলা আমার বাবা-মা বাড়ীতে না থাকায় এই সুযোগে মনু বয়াতী আমার বশত ঘরে হঠাৎ এসে আমার মুখ চেপে ধরে কাউকে না দেখে জোর করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্বে ধর্ষন করে। আমি এই ঘটনা যদি কাউকে বলি তাহলে আমাকে প্রান নাশ করিবে বলে হুমকী দেয়। আমাকে বিবাহ করবে বলে আমার সাথে বিভিন্ন সময় এসে মেলা-মেশা করত। তারই কারনে ৫ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পরি।
আমার শরীরের অবস্থা মনুকে জানাইলে বলে অপেক্ষা কর সব ঠিক হয়ে যাবে। বাচ্ছা হলে সমস্যা নেই আমি তোমাকে বিবাহ করবো। কিছুদিন পর মনু বলে তুমি বাচ্চা নষ্ঠ করো তা না হলে তোমাকে মেরে ফেলবো ।
বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে আমি আমার মায়ের কাছে বলি মা আমাকে নিয়া বরগুনা ডাক্তারের কাছে যায়। ডা: আমার অবস্থা দেখে বাচ্চা নষ্ঠ না করার নির্দেশ দেয় ।
এ বিষয়টি নিয়ে বদরখালী সমাজে জানা জানি হলে গত ১৩ ফেব্রয়ারি তারিখ অপকর্মের নিরসনের লক্ষে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি মনু বয়াতীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং ঐ কিশোরীকে বিবাহ করবেন বলে জানান।
ইতিমধ্যে কিছু কু-চক্রিমহলের পরামর্শে মনু বয়াতী এলাকা ছারার অাংশকা রয়েছে।
কিশোরীর বাবা শহিদ মিয়া বলেন আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসন ও সমাজের কাছে বিচার চাই। এলাকার সাবেক ইউ.পি সদস্য মো. ফোরকান আলী বলেন যেহেতু মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স সেহেতু আইনী তৎপরতা ছাড়া স্থানীয় সমাধান দেওয়া সম্ভাব নয়।
এ ব্যাপারে বরগুনা দায়েরা জজ আদালতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা নং ১২১/২০১৭ দায়ের করা হয়।