বুধবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে অবৈধ দখল থেকে কোটি টাকার সরকারি ভূমি উদ্ধার
বিশ্বনাথে অবৈধ দখল থেকে কোটি টাকার সরকারি ভূমি উদ্ধার
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (৩ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৭ মি.)সিলেটের বিশ্বনাথে সরকারি গোপাট রকম ভূমিতে অবৈধ ভাবে নির্মানকৃত প্রায় ২শত ফুট পাঁকা দেয়াল ও বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিন পর ব্যক্তির রাহুগ্রাস থেকে রক্ষা পেল সরকারের কোটি টাকার ভূমি সম্পদ। দীর্ঘদিন পর উক্ত ভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কারণে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার সকালে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে থাকা ওই অবৈধ স্থাপনাগুলো সিলেটের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মুফতাফিজুর রহমান’র নেতৃত্বে উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর পূর্বে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামস্থ ‘মাটিজোড়া নদী’ সংলগ্ন ভূমিতে দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা মৌজার ৫৪নং জে.এল এর ১নং খতিয়ানের ১৮৫, ২১৬ ও ২১৮নং দাগের প্রায় ৮৬ শতক সরকারি জায়গার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমি একই গ্রামের মজম্মিল আলী, আলতাব হোসেন, ছোয়াব আলী, সেলিম আহমদ, সায়েক আলী, রাশিদ আলী ও তজম্মুল আলী প্রাচীর দিয়ে তাদের বাড়ীর সীমানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে ঘর-দোয়ার নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিল।
বিষয়টি এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট রামপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জানান। এরই প্রেক্ষিতে রামপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নির্মল পাল চৌধুরী গত ১৭/০৮/১৫ইং তারিখে উপরোক্ত ব্যক্তিদের নোটিশ দেন উক্ত ভূমিতে মাটি ভরাট কিংবা সীমানা প্রাচীর, নির্মাণ না করতে। কিন্তু অভিযুক্তরা আইনের তোয়াক্কা না করে মাটি ভরাট ও প্রাচীর নির্মান করে ফেলে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ০১/২০১৬। মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে চাঁনপুর গ্রামের অবৈধ স্থাপনাগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রশাসনের এই মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করে এলাকাবাসী জানান আশাকরি ‘মাটিজোড়া নদী’ তীর উচ্ছেদের মতো ভবিষ্যতে বিশ্বনাথ উপজেলার সদরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ‘বাসিয়া নদী’র দুই তীরে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ হবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম আহমদের ভাই মানিক আহমদ দরাছ বলেন, আমাদের পূর্বে কোনো নোটিশ প্রদান না করেই বাড়ির সীমানা প্রচীর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এবিষয়ে আদালতে মামলা চলে আসছে বলে তিনি জানান।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মুফতাফিজুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরিয়ে নিতে মালিকদের নোটিশ দিলেও তারা শোনেন নি। এরপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক ওই সরকারি ভূমির ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।