শুক্রবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হৃদরোগ হাসপাতালের পাশে জেমসের কনসার্ট
হৃদরোগ হাসপাতালের পাশে জেমসের কনসার্ট
সিলেট প্রতিনিধি :: (৫ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৪২মি.) সিলেট সংক্রামক ও বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন ও টিবি হাসপাতাল সিলেটের হৃদরোগ হাসপাতালের পাশেই সদর উপজেলা খেলার মাঠ।
গুরুত্বপূর্ণ এসব হাসপাতালের জরুরী বিভাগসহ আবাসিক বিভাগে রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তারপরও ওই মাঠেই আয়োজন করা হয়েছে কনসার্ট।
গান গাইবেন গুরু খ্যাত ব্যান্ড শিল্পী ‘জেমস’। প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এতে বসানো হবে উচ্চ শব্দের স্পিকার। আর এতেই শংকা প্রকাশ করছেন রোগীর স্বজনসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রশ্ন অনাকাঙ্খিত কোন দুর্ঘটনার দায়ভার কে নিবে ?
১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর থেকে কনসার্ট শুরু হয়ে চলবে রাত অবধি। এতে গান পরিবেশন করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যান্ড দল নগর বাউলের।
সিলেট মহানগর পুলিশ ও প্রশাসন কনসার্ট আয়োজনের অনুমোদনও দিয়েছেন। তবে সিলেটের সচেতন মহল অভিযোগ করছেন, ওই এলাকায় এতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্র থাকা সত্যেও কিভাবে এই কনসার্টের অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন?
আয়োজকরা জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ আয়োজন করা হয়েছে। তবে সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল শাহ আবিদুর রহমানের বরাত দিয়ে পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবু তালেব মুরাদ সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারো সাথে কথা হয়নি আয়োজকদের।
তিনি হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রোগীদের নিয়ে শংকা প্রকাশ করে জানান এতে আমাদের ভয় হচ্ছে। উচ্চ শব্দের ফলে হাসপাতালের চিকিৎসাধিনদের ক্ষতি হলে এর দায়ভার কে নিবে ?
হাসাপাতালের ৩০টি শয্যায় রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ও পোস্ট সিসিইউতে ১০টির মধ্যে ৭টিতে রোগী রয়েছে এবং সিসিইউতে রোগী রয়েছে বলে জানান তিনি। এই আয়োজন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না জানিয়ে বলেন, এখানে এতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্র থাকতে আয়োজকরা কেন এই মাঠটিকে বেছে নিলো। অন্য কোন জায়গায় এই আয়োজন করা হলে অসুবিধা হতো না।
এ ব্যাপারে আয়োজক দ্যা ব্যান্ড কমিউনিটির সভাপতি আরমান চৌধুরী সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, প্রশাসনসহ সকলের অনুমোদন নিয়েই এই আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে তেমন কোন উচ্চ শব্দ হবে না বলেও জানান তিনি। এতে হৃদরোগ হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্রে রয়েছে বলে জানানো হলে তিনি বলেন, রোগীদের তেমন কোন সমস্যা হবে না।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি ও বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেনের সাথে মোবাইলে ফোনে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।