শুক্রবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বেতাগীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই- বাছাই কার্যক্রম স্থগিত
বেতাগীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই- বাছাই কার্যক্রম স্থগিত
বরগুনা প্রতিনিধি:: (৫ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.২০মি.) বরগুনার বেতাগীতে কোরাম সংকটের কারনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলার বাইরের লোক সভাপতি এবং যুদ্ধকালীন কমান্ডার বাদ দিয়ে যাচাই- বাছাই কমিটি গঠন, ভাতাপ্রাপ্ত অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের এবং বাছাই সভায় বহিরাগত লোকের অনাধিকার প্রবেশ, অযাচিত হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শনিবার (২৮ জানুয়ারী) বাছাই কমিটির সভায় প্রথম দফায় অনলাইনে আবেদনকারী ৩১০ জনের মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) পূরনকৃত ফরম জমাদান, ৬ ফ্রেরুয়ারী থেকে ৮ ফ্রেরুয়ারী পর্যন্ত বিবিচিনি,বেতাগী সদর ইউনিয়ন,পৌরসভা, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার কাজিরাবাদ,সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের অনলাইনের আবেদন যাচাই- বাছাই এবং ৯ ফ্রেরুয়ারী এক তালিকাভূক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত শুনানি এবং একইভাবে ৮ ফ্রেরুয়ারী থেকে ১২ ফ্রেরুয়ারী পর্যন্ত যাচাই- বাছাই ও অভিযোগের নিস্পত্তির তারিখ নির্ধারন করা হয়।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায়ও তা স্থগিত করা হয়।.পার্শ্ববর্তী উপজেলার বাসিন্দা নবম সেক্টরের অধীনস্থ গ্রুপ কমান্ডার আলতাফ হায়দার তালিকাভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত ৩১০ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয় অবৈধভাবে তালিকাভুক্তির অভিযোগ করেন।
এ প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই কমিটি ইতোমধ্যে তাদের নোটিশ দিয়েছে। ঢাকার কাকরাইল থেকেও কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি তালিকাভুক্ত ৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে বাদ না পড়ে সেই লক্ষে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করে। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) বেতাগী উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের দপ্তর সম্পাদক এ.কে.এম শামসুদ্দিন সানুর সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাসযাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করা হয়।
স্থানীয় একাধিক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করেন, এসময় কমিটির বাইরেও বরগুনা জেলার সাংগঠনিক কমান্ডার বজলুর রশীদ দুলাল সহ বহিরাগত মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা,জনপ্রতিনিধি উপস্থিত হয়। ৮ ও ৯ ফ্রেরুয়ারী যাচাই-বাছাই কমিটি সভাগুলোতেও নিয়ম বহিরাগতভাবে একাধিক বহিরাগত লোক অনাধিকার প্রবেশ করে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে এতে তাদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং এ ধরনের অনিয়মের আশ্রয়ে দিন দিন আরোও জটিলতা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা অনুসারে উপজেলায় গঠিত কমিটিতে সভাপতি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাসিন্দা হবেন উল্লেখ থাকলেও যাকে ওই পদে দেওয়া হয়েছে এ.কে.এম শামসুদ্দিন সানু তিনি জেলার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা। ১৪ ফ্রেরুয়ারী ২০১৬ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে যাচাই-বাছাই কমিটিতে যুদ্ধকালীন কমান্ডার হিসেবে আব্দুল মোতালেব সিকদারের নাম অন্তভুক্ত করনে স্থানীয়রা আবেদন করে তাও উপেক্ষা করা হয়।
একই অভিযোগে ইতোমধ্যে যশোরের চৌগাছাসহ একাধিক উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ে হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারিসহ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম.এম মাহমুদুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা
মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই- বাছাই কার্যক্রম চলছে। কোরাম সংকটে ফলে এ প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত করা হয় ।
তবে যথা শীঘ্রই যাচাই-বাছাইয়ের সময় তারিখ জানানো হবে।