শুক্রবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » উদ্বোধন হল “বাউল হাট”
উদ্বোধন হল “বাউল হাট”
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৫ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪০মি.) ঝিনাইদহে ব্যাপক আয়োজনে ১৭ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকালে মুজিব চত্ত্বর ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদমিনার প্রাঙ্গনে উদ্বোধন হল লোক সঙ্গীত“বাউলের হাট”। এ অনুষ্ঠান লোক সঙ্গীত“বাউলের হাট” চলবে ১৭,১৮,১৯শে ফেব্রুয়ারী তিনদিন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন খুলনা রেঞ্জের সম্মানীত ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, উৎসবের উদ্বোধন করলেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব্য বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সভাপতি জনাব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, বিশেষ অতিথী ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, বিশেষ অতিথী ছিলেন মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথী ছিলেন প্রিয়ংকা কালচারাল ইনিষ্টিটিউটের চেয়ারম্যান জনাব সাইদুর রহমান স্বজল, বিশেষ অতিথী ছিলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারন সম্পাদক জনাব তৌফিক হাসান ময়না, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে ছিলেন জনাব সাইদুল করিম মিন্টু মেয়র ঝিনাইদহ পৌরসভা।
ঝিনাইদহে ফকির লালন শাহ, মরমী কবি পাগলা কানাই, সিরাজ শাহ্, বাউল দুদ্দু শাহ্, গাজী-কালু-চম্পাবতী, বাঘা যতীন, বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান, কে.পি.বসু, ইলা মিত্র, কবি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ গুনীজন সমৃদ্ধ ইতিহাসের স্মরণীয় ব্যাক্তিদের তীর্থ জন্মস্থান। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা একটি আদর্শ ও ঐতিহ্যবাহী জেলা হিসাবে সারাদেশে পরিচিতি অর্জন করেছে।
এ সমস্ত বাউল সাধক ও কীর্তিমান ব্যাক্তিদের স্মরণে ঝিনাইদহ জেলার হাজার বছরের লোকঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সংগঠন ঝিনাইদহ থিয়েটার, ভোর হলো এবং লালন পরিষদ মিলে আয়োজন করতে যাচ্ছে আগামী ১৭,১৮,১৯শে ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ইং তারিখে ৩দিন ব্যাপী “বাউল হাট” নামে এক লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসব। এই ৩দিনে বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মরমী কবি পাগলা কানাই এর জারীগান, কবি গান, লাঠি খেলা, বাউলদের ভাব সঙ্গীত, অষ্টক পালা, গম্ভীরা, লোক নাটক, লোক পালা, গাজীর গান ইত্যাদি প্রদর্শিত হবে।
ঝিনাইদহবাসী আশা করে, উক্ত অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানূষের স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহনের মাধ্যমে বাঙালী সংস্কৃতির আদি ঐতিহ্যকে তুলে ধরবার প্রত্যয়ে বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে সুদৃড় করার ক্ষেত্রে মুল্যবোধের বিকাশ সাধন হবে। এ উৎসব শুধু বিনোদনের নয়, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়ীকতার দর্শনে গন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা।