শিরোনাম:
●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » আমরাও শহীদের সন্তান
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » আমরাও শহীদের সন্তান
মঙ্গলবার ● ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আমরাও শহীদের সন্তান

--- সিরাজী এম আর মোস্তাক :: ১৯৫২’র ভাষা শহীদ থেকে ৭১এর ত্রিশ লাখ শহীদ সবই জাতীয় চেতনার অংশ। এটি আন্তর্জাতিক চেতনার অংশও বটে। বাংলাদেশে এ চেতনা নিয়ে বিতর্ক ও বাড়াবাড়ি আছে, যা বিশ্ববাসী অবগত নয়। এটি প্রকাশ পেলে সুন্দরবন যেভাবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থেকে বাদ পড়ছে, তেমনি ২১ ফেব্রুয়ারী নিয়েও কথা উঠবে। তাই আমাদেরকে শহীদের প্রকৃত চেতনা ধারণ করতে হবে। শহীদের সন্তান বা যোগ্য উত্তরসূরী হতে হবে।
৫২’র ভাষা আন্দোলন বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। অথচ তাতে প্রাণ হারিয়েছে মাত্র কযেকজন। ১৯৭১ সালে তার চেয়ে লাখোগুণ বেশি শহীদ হয়েছে। কিন্তু তাদের আত্মত্যাগ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত নয়। এর কারণ, শহীদের চেতনা নিয়ে বিতর্ক ও বাড়াবাড়ি।
বাংলাদেশে শহীদ বলতে শুধু ভাষা শহীদদের বুঝানো হয়। মুক্তিযুদ্ধে প্রানদানকারি ত্রিশ লাখ শহীদের কোনো মর্যাদা নেই। তারা মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তও নয়। বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মাত্র প্রায় দুই লাখ। শুধু এ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারই কোটা সুবিধাপ্রাপ্ত। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭১ এর সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালির মধ্য থেকে ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন ও কোটি কোটি সহযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়ন করলে দেশের সবাই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারভুক্ত হবার কথা। কিন্তু তা কি হয়েছে? শুধু তালিকাভুক্ত পরিবারের সদস্যরাই মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের সন্তান পরিচয় দিচ্ছে এবং স্বার্থ ভোগ করছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে লড়াকু বীর ও শহীদদের নিয়ে এ বিতর্কই বাংলাদেশে শহীদের চেতনাকে বিনষ্ট করেছে।
বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শহীদ চেতনা সঠিক ছিল। তিনি ভাষা শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সবাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন। যেমন ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা ৫২ সালে রক্ত দিয়েছি—— রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি।” একইভাবে ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারী দেশে ফিরে লাখো জনতার সামনে বারবার শহীদদের স্মরণ করেন এবং বলেন, “ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। আপনারাই জীবন দিয়েছেন এবং দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্বও আপনাদেরই।” ভাষণটি অনলাইনে সরাসরি শুনতে ক্লিক করুন এখানে- https://www.youtube.com/watch?v=ExL5YvTCxCw) অথবা (https://www.youtube.com/watch?v=CXKlLJB9O8E)|
বঙ্গবন্ধু শহীদ-গাজি নির্বিশেষে দেশের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করেন। একজন বন্দি ও আত্মত্যাগী যোদ্ধা হিসেবে নিজেও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সাতজন শহীদসহ মোট ৬৭৬ জনকে বিশেষ খেতাব দেন। তাঁর সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বা পঙ্গু ও যুদ্ধাহত যোদ্ধাদের জন্য ভাতা সুবিধা ছিলনা। মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ-আত্মত্যাগী পার্থক্য ছিলনা। দেশের সবাই মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের স্বজন বিবেচিত ছিল।
আজ বঙ্গবন্ধু থাকলে মুক্তিযুদ্ধে প্রানদানকারি লাখো শহীদগণ ভাষা শহীদদের মতোই মর্যাদা পেতেন। শুধু দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হতো না। বঙ্গবন্ধুর মহান চেতনা তথা ‘শহীদ-গাজী নির্বিশেষে ১৯৭১ এর সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালিই মুক্তিযোদ্ধা’ প্রতিষ্ঠিত হতো। তাতে দেশের বর্তমান ষোল কোটি নাগরিক সবাই মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারভুক্ত হতো। আমরাও গর্বভরে শহীদের সন্তান পরিচয় দিতাম।

শিক্ষানবিস আইনজীবি, ঢাকা।
[email protected].





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)