বুধবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ প্রজ্ঞাপন আদেশ জারি
রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ প্রজ্ঞাপন আদেশ জারি
অনলাইন ডেস্ক :: (১০ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৩০মি.) পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ পরিচালিত ২১০টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় শাখা-১-এর উপ-সচিব মুহাম্মদ হিরুজ্জামান রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ জাতীয়করণের আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিগ্রহণ আইন ১৯৭৪-এর ৩(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সরকার পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের আওতায় ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ প্রকল্পের সহায়তায় স্থাপিত ২১০টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটির জেলায় ৮১টি বান্দরবান জেলার ৮০টি ও খাগড়াছড়ি জেলার ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
তারমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ১৩টি, লক্ষীছড়ি উপজেলায় ১২টি, মহালছড়ি উপজেলায় ১২টি, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ১৪টি, বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় ২০টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১৬টি, রুমা উপজেলায় ২৪টি, থানচি উপজেলায় ২০টি, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২৩টি, বিলাইছড়ি উপজেলায় ১৯টি, জুরাছড়ি উপজেলায় ২৫টি, রাজস্থলী উপজেলায় ১৪টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, এ আদেশ জারির পর থেকে জমি, গৃহ, নগদ তহবিলসহ যাবতীয় সম্পদ সরকারের অনুকূলে হস্তান্তরিত/ন্যস্ত বলে গণ্য হবে। বিদ্যালয়সমূহের বর্তমান পরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত এবং বিধি মোতাবেক নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। বিদ্যালয়সমূহের তথ্যাদি মতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ সৃষ্টি করা হবে ও পদ সৃষ্টির আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের বিধি মোতাবেক সরকারিকরণ করা হবে।
খাগড়াছড়ি জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ দিন এ সব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানববেতর জীবন-যাপন করছিলেন। ২০০৮-২০১৪ সাল পর্যন্ত জাবারাং কল্যাণ সমিতি সহযোগিতা দিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন-ভাতা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী জানান, পত্র পাওয়ার পর জেলা পরিষদ বিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগসহ যাবতীয় সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।