বৃহস্পতিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » চাউল কিনে বাড়ী ফেরা হলনা আকাশের
চাউল কিনে বাড়ী ফেরা হলনা আকাশের
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ ) প্রতিনিধি :: (১১ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ১২.৪০মি.) চাউল কিনে বাসায় ফেরা হলনা শিশু আকাশের । রাস্তা পারাপারের ঘাতক মিতালী বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালো আকাশ মিয়া (৯) নামের শিশু।
নিহত শিশুটি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্ট্রগ্রাম সদরের পূর্ব অষ্ট্রগ্রামের ফেরিওয়ালা আয়াজ আলীর পুত্র। তাহারা গত ২১শে ফেব্রুয়ারী আউশকান্দি দেওতৈল আবাসিক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ২ টার সময় ঢাকা সিলেট মহা-সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া রোডের প্রবেশমুখে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত এলাকাবাসী প্রায় আড়াই ঘন্টা মহা-সড়ক অবরোধ করে রাখে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়াম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী এর সমন্বয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন, ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ জজ, নবীগঞ্জ থানার ওসি আতাউর রহমান ও হাইওয়ে পুলিশের সাথে স্থানীর জনতার সমঝোতায় অবরোধ সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়। নিহতের পিতাকে উপজেলা চেয়ারম্যান নগদ ১৫ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন। ঘাতক মিতালী বাসের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করার অঙ্গীকার করেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান।
জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার থেকে চাল ক্রয় করে দিন মজুর আয়াজ আলী ও তার পুত্র দেওতৈল আবাসিক এলাকায় ফিরছিলো। পথিমধ্যে বুধবার বিকাল ২টার সময় মহা-সড়কের ওই স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী একটি মিতালী পরিবহন পেছন থেকে দ্রুতগতিতে তাকে চাপা দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
এ খবরে দেওতৈল, দরবেশপুর, দাউদপুর, বোয়ালজুর,কারখানা সহ আউশকান্দি এলাকার কয়েক সহস্রাধীক উত্তেজিত জনতা প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। জনগণের দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, আউশকান্দি ইউ,পি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন, নবীগঞ্জ থানার ওসি আতাউর রহমান, হাইওয়ে ওসি বিমল আচার্য্য সহ পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় উত্তেজিত এলাবাসীর সাথে সমঝোতা বৈঠকের পরে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
এলাকাবাসী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান গত ১ বছরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের কারনে ১৫/২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।