বৃহস্পতিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » শিরোনাম » আওয়ামী লীগ নেতা শফিক চৌধুরীর কৃতজ্ঞতা
আওয়ামী লীগ নেতা শফিক চৌধুরীর কৃতজ্ঞতা
সিলেট প্রতিনিধি :: (১১ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২০মি.) সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়িতে কতিপয় পরিবহণ শ্রমিকের হামলার ঘটনায় যারা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের প্রতি তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘পরিবহণ ধর্মঘটের সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ, প্রশাসন ও শ্রমিকনেতাদের সাথে ১৮ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে শ্রমিক-পুলিশের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে এবং শ্রমিকনেতারা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার ঘোষণা করেন।
এ বৈঠক থেকে ওসমানীনগর উপজেলায় দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনে যাওয়ার পথে সুবহানীঘাট-মেন্দীবাগ সড়কের মধ্যখানে আসামাত্র শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দয়ায় আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার ল্যান্ড ক্রুজার জিপটি ভাংচুরের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট-২ আসনের এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহেদ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
হামলার খবর পেয়েই আমার সাথে ফোনে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এম এ মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, সংসদ সদস্য মাহমুদুুস সামাদ চৌধুরী কয়েস, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুদ্দিন খান, সভাপতি সুলতান শরিফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম মেম্বার ড. আহমদ আল কবির, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম মেম্বার তাজ উদ্দিন তাজ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ, প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল-আজাদ, সেক্রটারি রেজওয়ান আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল আজিজ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, বিশ্বনাথ এবং সিলেট জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদের নেতৃবৃন্দ, যুক্তরাজ্য ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণ খবর পেয়ে আমার বাসায় ছুটে আসেন। তাঁরা আমার খোঁজখবর নেন এবং ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার পরে যারা বিভিন্নভাবে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, দোষীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি জানিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেছেন, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের এই ঋণ শোধ হবার নয়। নৈরাজ্য ও অরাজকতার বিরুদ্ধে আপসহীন লেখনীর মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অশেষ ধন্যবাদ।
তিনি বলেন এই ঘৃণ্য হামলা সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতির যে বন্ধন ছিল, তা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনে লুকিয়ে থাকা জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের দ্রুত খোঁজে বের করে গ্রেফতার করে বিচার করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই।