বৃহস্পতিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » ইট ভাটায় পুড়িয়ে মারা যুবক জীবন্ত উদ্ধার
ইট ভাটায় পুড়িয়ে মারা যুবক জীবন্ত উদ্ধার
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১১ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৮মি.) সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বংশীপুরে অপহরণের পর ইট ভাটায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগে দায়ের করা মামলার ভিকটিম মো. ইস্রাফিলকে (১৫) গাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়া গ্রামের আব্দুস ছামাদের বাড়ি থেকে ২০দিন পর জীবন্ত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইস্রাফিলকে আশ্রয় দেয়ায় বাদীর ছোট বোন মরিয়ম আক্তার সাথী (৪০) ও কন্যা মর্জিনাকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা আব্দুস ছামাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় শারা নিট কম্পোজিট কারখানায় চাকুরী করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার তারানিপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ তার ছেলে ইস্রাফিলকে অপহরণের পর ইট ভাটায় পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়।
এ মামলায় পৈইখালি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম, তার বড় ভাই শেখ আব্দুর রহমানসহ ৮ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
বাদীর অভিযোগ, ব্যবসায়ীক পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও তার সহযোগীরা ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্রাফিলকে অপহরণ করে ভারতে পাচার কিংবা জ্বলন্ত ইট ভাটার মধ্যে ফেলে হত্যা করেছে।
মামলার বাদী আব্দুল মজিদ জানান, তার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তার মামলা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে মামলা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে আটক মরিয়ম ও মর্জিনা জানায়, তারা প্রায় দেড় বছর যাবত শ্রীপুরের আব্দুস ছামাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় শারা নিট কম্পোজিট কারখানায় চাকুরী করছে। গত দু’দিন আগে ইস্রাফিল তাদের বাসায় এসেছে। তবে মামলা সংক্রান্ত ঘটনার বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।
শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান জানান, শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের আ. ছামাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মরিয়ম ও মর্জিনার বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিম ইস্রাফিলকে উদ্ধার করা হয়।