

শনিবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষাণী নুরুন্নাহার ভুমিকা রাখছে
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষাণী নুরুন্নাহার ভুমিকা রাখছে
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (১৩ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ১.২০মি.) ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বিশ্বাসের স্ত্রী গ্রাম্য বধু নুরুন্নাহার চার দেয়ালের গন্ডির থেকে বেড়িয়ে সমাজ উন্নয়ন কর্মীর দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠানে শায়েখ সিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে তার ইচ্ছে প্রবল আকার ধারণ করে। প্রায় বারো বছর থেকে তিনি লাউসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদন ও ডেইরী ফার্মে গরু পালন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন মুলক কাজও করে যাচ্ছেন। নুরুন্নাহার নিবিড় সবজি, ফলমূল, পোল্ট্রি ও গাভির খামার করে এলাকার নারীদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন। নিজের,সমাজের অসহায় নারী ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরামহীনভাবে ভুমিকা রেখে চলেছেন। এ কারণে বর্তমানে তার আর্থিক অবস্থা এলাকার শীর্ষ অর্থশালীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
দেশের সকল নারী কৃষককে ডিঙ্গিয়ে ২০১০ সালে সিটি গ্রুপ জাতীয় পুরষ্কার, ২০১১ সালে দেশের সেরা নারী কৃষক হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি ব্রোঞ্জ পদক ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন। জয়বাংলা নারী উন্নয়ন মহিলা সমবায় সমিতি ও এনসিডিপি গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভানেত্রী নারী উদ্যোক্তা নুরুন্নাহার ১ হাজারের বেশি নারীদের সংগঠিত করে তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ ককরায় এসব পদক ছিনিয়ে আনা তার জন্য সহজ হয়েছে।
নুরুন্নাহার বেগমের সফলতা দেখে ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের নারীরাও রীতিমতো প্রতিযোগিতামূলক কৃষি কাজ শুরু করেছেন । তাদেরও আর্থিক অবস্থার পরিবর্তণ হচ্ছে। নুরুন্নাহারসহ সকল নারীরাই পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগানোর জন্য এবার লাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুধু নুরুন্নাহারের খামারের ৪ বিঘা জমিতে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত লাউ ইতোমধ্যে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে । আরও লক্ষাধিক টাকার লাউ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।