শুক্রবার ● ৬ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চট্টগ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযান
চট্টগ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযান
কামরুল ইসলাম হৃদয়, চট্টগ্রাম :: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পাঁচটি বাহিনীর অভিযান শুরু হয় নগরীতে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, এপিবিএন ও জেলা প্রশাসন এক যোগে এই অভিযান শুরু করেছে।চট্টগ্রাম মহানগরীতে সিএমপি এই অভিযানের সমন্বয় করছে।সিএমপি গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর সিআরবি এলাকায় অভিযানের মধ্য দিয়ে মাঠে নেমেছে যৌথবাহিনী, শুক্রবার বেলা এগারোটা থেকে আন্দরকিল্লা এলাকায় তল্লাশী শুরু হয়েছে।সিআরবি’র অভিযানে বেশ কিছু ধারালো দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তেমন কাউকে আটক করা যায়নি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এক যোগে যৌথ বাহিনীকে মাঠে নামনো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”শুক্রবার আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের পথচারী এবং মুসল্লীদেরকে তল্লাশী করতে দেখা গেছে। নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় এলাকায় দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত যোথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয় ।তল্লাশি চলাকালীন সময়ে চোলাই মদসহ চারজনকে আটক করা হয়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিমউদ্দিন জানান, প্রতিদিনই নগরীর কোথাও না কোথাও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তারই অংশ হিসেবে আন্দরকিল্লায় অভিযান চলছে।অভিযানে নগর পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, তল্লাশিকালে চারজনকে চোলাই মদসহ আটক করা হয়েছে।বিদেশি নাগরিক হত্যা, ঢাকায় ব্লগার-প্রকাশক খুন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ- পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা মুজাহিদের পক্ষে নাশকতার আশঙ্কা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিআরবি এলাকায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চট্টগ্রামে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও সিআরবি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আন্দরকিল্লায় অভিযান চালানো হচ্ছে।আন্দরকিল্লা জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিভিন্ন সময় নগরীতে ব্যাপক ভাঙচুরে ঘটনা ঘটেছিল। এরপর থেকে জুমার নামাজের আগে ও পরে আন্দরকিল্লা এলাকায় কয়েক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।