বুধবার ● ১ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » বিলুপ্তির পথে শিমুল ফুল
বিলুপ্তির পথে শিমুল ফুল
বগুড়া প্রতিনিধি :: (১৭ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৪৫মি.) বগুড়া জেলা’সহ গাবতলীতে শিমুলগাছ ও ফুলের অপরুপ সৌন্দয্যে, সৌরভ ও শোভা এখন আর চোখেই পড়ে না। পাখির কোলাহল ও ফুলের গন্ধে জেন মন জুড়িয়ে যায়। কালের বিবর্তনে সেই চিরচেনা শিমুলগাছ ফুল এখন বিলুপ্তির পথে।
বসন্তকালে শিমুল পলাশ গাছ শুধু অপরুপ শোভা বৃদ্ধি করে না সৌন্দয্যে’র পাশাপাশি গাছের মালিকও আর্থিক ভাবে লাভবান হতো। শিমুলগাছের তুলা আর সেই তুলা দিয়ে লেপ তোষক’সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় শিমুলগাছ। এছাড়াও শিমুলগাছের শিকড় ও গাছের ছাল দিয়ে মানবদেহের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ন ভেষজ ঔষধ তৈরী কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। সে ঔষধে মানবদেহের অনেক উপকার হয়। এছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষক। এ গাছে কাঁটা থাকায় ফুল থেকে ফল (কলা) কেউ চুরি করতে পারে না। শিমুলগাছ দিনদিন বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়ার ফলে তুলা, গাছের কাঁঠ, ঔষধ তৈরীতে সংকট দেখা দিয়েছে। অল্প সংখ্যক শিমুলগাছ চোখে পড়লেও তুলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে কয়েকগুন। এ গাছের এতগুন থাকার পরেও গাছটি সংরক্ষণ ও রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেই। কাগইল এলাকার শিমুলগাছ মালিক নুহু আলম জানান, আমি একটি শিমুলগাছ থেকে যে পরিমান তুলা পাই সে তুলা পরিবারের কাজে ব্যবহারের পরেও বাঁকী তুলা বাজারে বিক্রি করে প্রতিবছর বেশ লাভবান হতে পেরেছি। প্রতিদিন গাছের লাল শিমুলফুল ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে গাছতলায় যায়। পাখি ও ফুল দেখে মনটা ভাল থাকে। গাবতলী উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, শিমুলগাছ একটি গুরুত্বপূর্ন গাছ। গাছটি মানুষের জন্য খুব উপকারী। ব্যক্তি পর্য়াযে শিমুলগাছ সংরক্ষনে কৃষকদের মাঝে গনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের দাবিদার এই শিমুলগাছ ফুল। রাস্তায় বা খোলা জায়গায় শিমুলগাছ রোপনে কৃষকদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এমনকি শিমুলগাছকে ব্যক্তি, সংগঠন, সরকারী দপ্তরের বনবিভাগ ও বেসরকারী পর্য়াযে সংরক্ষণ করতে জোর দাবী জানিয়েছেন পরিবেশ সচেতনমহল।