রবিবার ● ৫ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » ধান গবেষণায় পোকা মারতে সৌরচালিত আলোক ফাঁদ
ধান গবেষণায় পোকা মারতে সৌরচালিত আলোক ফাঁদ
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২১ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.২৪মি.) পরিবেশ বান্ধব কীটপতঙ্গ শনাক্তকরণ, পর্যবেক্ষণ ও দমন পদ্ধতি আলোক ফাঁদ উদ্ভাবন করেছে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি)।
ব্রি গণসংযোগ বিভাগ জানায়, জনপ্রিয় ও সহজ এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে শস্যের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন করা যায়। প্রচলিত পদ্ধতিতে হ্যারিকেন, হ্যাজাক লাইট অথবা বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন করে আলোক ফাঁদ তৈরি করা হয়। এই আলোক ফাঁদ প্রতিদিন সন্ধ্যায় জ্বালিয়ে সকালে বন্ধ করতে হয়। এ অবস্থায় ব্রির এফএমপিএইচটি ও কীটতত্ত্ব বিভাগ যৌথভাবে ফসলের মাঠে ব্যবহার উপযোগী সৌরশক্তি চালিত একটি নতুন আলোক ফাঁদ উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত যন্ত্রটি মাঠে একবার স্থাপন করলে এটি আপনা থেকেই (স্বয়ংক্রিয়) সূর্যের আলোর অনুপস্থিতিতে জ্বলে এবং সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে নিভে। প্রযুক্তিটি ১টি সৌর প্যানেল, ১টি ব্যাটারি, ১টি কন্ট্রোলার, ১টি বৈদ্যুতিক বাতি এবং কেরোসিন মিশ্রিত পানির পাত্র ও ১টি স্ট্যান্ডের সমন্বয়ে তৈরি যার আনুমানিক মূল্য ১৫০০-২০০০ টাকা। এ যন্ত্রেও ব্যাটারি ও বৈদ্যুতিক বাল্বের জীবনকাল দুই বছর এবং সৌর প্যানেলের মেয়াদ ২০ বছর। প্রযুক্তিটি দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা গেলে ফসলের মাঠে পোকা দমন করা সহজ হবে। যার ফলে এক দিকে ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমবে এবং পরিবেশ থাকবে নির্মল। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। প্রযুক্তিটি ফসলের মাঠের পাশাপাশি ধান-মাছের মিশ্রচাষে ও পুকুরে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এই ফাঁদ পুকুরে ব্যবহার করলে ফাঁদে আকৃষ্ট পোকামাকড় মাছ সরাসরি সম্পূরক খাবার হিসেবে খেতে পারবে।