শুক্রবার ● ১০ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » মানবের কল্যাণকামীদের সম্মান করা সকলের কর্তব্য : এস. লোকজিৎ থেরো
মানবের কল্যাণকামীদের সম্মান করা সকলের কর্তব্য : এস. লোকজিৎ থেরো
পলাশ বড়ুয়া :: (২৬ ফাল্গুন ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১০মি.)
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উখিয়ার রেজুরকুল ধর্মাশোক বৌদ্ধ বিহার চত্বরে প্রয়াত: তিষ্য স্থবিরের ২২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা ও বিদর্শন সাধক জ্ঞানীশ্বর ভিক্ষু ‘স্থবির অভিধা’ বরণ, প্রব্রজ্যা প্রদান, অষ্টউপকরণ সহ সংঘদান ও বৌদ্ধ সম্মেলন-২০১৭ সম্পন্ন হয়েছে ১০ মার্চ শুক্রবার।
১০ মার্চ দিনব্যাপী মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের প্রথমপর্বে সভাপতিত্ব করেন উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির কার্যকরি সভাপতি এস. ধর্মপাল মহাথের। প্রধান সদ্ধর্মদেশক হিসেবে ধর্মদেশনা করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাথের। উদ্বোধক- উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি প্রিয় থের।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, একুশে পদক প্রাপ্ত ও উপসংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের। আর্শীবাদক- পাতাবাড়ী আনন্দ ভবন বিহারের অধ্যক্ষ রেবতপ্রিয় মহাথের। উদ্বোধক- জ্ঞানসেন ভিক্ষু-শ্রামণ প্রশিক্ষণ ও সাধনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কুশলায়ন মহাথের। প্রধান সদ্ধর্মদেশকের সারগর্ভ আলোচনা করেন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ধর্মদূত এস. লোকজিৎ থের। প্রধান ধর্ম আলোচক- চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা: প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া। তিষ্য স্থবির প্রয়াণ ও অভিধা বরণ অনুষ্ঠানের তাৎপর্য তুলে ধরেন উদ্যাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঐতিহাসিক রাংকূট মহাবিহারের পরিচালক কে.শ্রী জ্যোতিসেন থের। স্থবির অভিধা বরণীয় যিনি শ্রীমৎ জ্ঞানীশ্বর থের। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা: শংকর বড়ুয়া। বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি (যুব) কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এড. অনিল কান্তি বড়ুয়া। উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মধু বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রধান সদ্ধর্মদেশক এস. লোকজিৎ বলেন, সভ্যতার এই অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মানব কল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিদের পূজা বা সম্মান করা সকলের কর্তব্য। তাতে প্রজন্ম অনুপ্রেরণা পাবে।
স্মরণীয়কে স্মরণ করা, বরণীয়কে বরণ করাই মানবীয় গুণ, শীর্ষক আলোচনা সভায় বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন সহ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বৌদ্ধদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অন্যন্য অবদানের কথাও তুলে ধরেন ডা: প্রভাত বড়ুয়া।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের নৈতিক, মানসিক ও ধর্মীয় শিক্ষাদানের জন্য প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছেন। এছাড়াও বৌদ্ধ শ্মশান রক্ষা, বিহার সংস্কারেও প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ অনুমোদন করেছেন।
শুরুতে শ্রীমৎ কর্মেশ্বর ভিক্ষুর মঙ্গলাচরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বিশ্বজিত বড়ুয়া। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন পশ্চিম রত্নার গ্রামের উপাসক সাধন বড়ুয়া। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রীমৎ জ্যোতি কল্যাণ ভিক্ষু, শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া, কিরণ বড়ুয়া।
ধর্মপাণ হাজারো মানুষের বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি হয়।