রবিবার ● ৮ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে আইনজীবী খুনের ঘটনায় মা-ছেলে গ্রেফতার
গাজীপুরে আইনজীবী খুনের ঘটনায় মা-ছেলে গ্রেফতার
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর প্রতিনিধি ::গাজীপুর শহরে উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লবকে (৪২) ছুরিকাঘাত ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মাহবুব হাসান রাবি্ব ওরফে রাতুল (২২) ও তার মা নাজমা বেগমকে (৪২)৷
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন জানান, ৭ নভেম্বর শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীপুরের ইজ্জতপুর রেলস্টেশন (পাঠানবাড়ী) এলাকা থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয় ৷
পুলিশ জানায়, মা নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয় গাজীপুর শহরে তাদের বরুদা বাসা থেকে৷ খুনের সঙ্গে জড়িত রাব্বীর ভাই রবিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ৷ রাব্বীদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেব প্রতাপ গ্রামে ৷ তার বাবা মাসুদুর রহমান গাজীপুর জজ আদালতের সেরেস্তাদার ৷ তারা শহরের বরুদা এলাকায় বসবাস করেন ৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাবি্ব আইনজীবী বিপ্লবকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন ৷
গাজীপুরে ৮ নভেম্বর রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে সাবাদিক সম্মেলনে জানান, গাজীপুর আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লব ছুকিাঘাতের ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আসামিদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালায় ৷ রাতেই রাব্বী ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয় ৷
তিনি জানান, রাব্বীর মা নাজমা বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লব খুন হন ৷ এ ঘটনার সঙ্গে রাব্বী ও তার ভাই রবিন সরাসরি জড়িত ৷ রাব্বী পুলিশের কাছে আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লবকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন ৷ এ ঘটনায় রবিবার জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিহত শিক্ষানবীশ আইনজীবী খন্দকার এনামুল হক বিপ্লব (৪২) তার বাসার সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁত্ পেতে থাকা রাবি্ব ও রবিন তাকে এলোপাতারিভাবে ছুরিকাঘাত ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় ৷ তার চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে ৷ গুরুতর আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় ৷ পথে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ও পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন ৷ তিনি ওই এলাকার মৃত খন্দকার সামসুদ্দিনের ছেলে ৷
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার আমিনুল হক টুটুল বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ৷আপলোড : ৮ নভেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : সন্ধ্যা ৬.০১ মিঃ