বুধবার ● ২৯ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শনাক্ত হয়নি নারী জঙ্গির লাশ
শনাক্ত হয়নি নারী জঙ্গির লাশ
সিলেট প্রতিনিধি :: (১৫ চৈত্র ১৪২৩ বাঙলা:বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪০মি.) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় নিহত ‘মর্জিনা বেগমই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় নিহত জুবাইরা ইয়াসমিনের বোন মনজিয়ারা পারভিন ওরফে মনজিয়ারা বেগমই কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পরিবার। ২৯ মার্চ বুধবার সকালে মনজিয়ারার পরিবারের সদস্যরা সিলেটে আসেন।
মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ফজল সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, মনজিয়ারা পারভিনের বাবা নুরুল ইসলাম ও বড় ভাই জিয়াবুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, আগুনে ওই নারীর শরীরের মুখমণ্ডলসহ নানা অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাঁরা লাশটি চিনতে পারছেন না। এ লাশটি মনজিয়ারা পারভিনের কি না, তাঁরা নিশ্চিত নন।
খায়রুল ফজল জানান, ওই নারী জঙ্গির লাশ শনাক্ত করতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে মনজিয়ারা পারভিনের পরিবারের ওই দুই সদস্য সকালে সিলেটে আসেন। গত সোমবার যে দুজন জঙ্গির লাশ সেনাবাহিনী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল, তাদের একজন নারী ও একজন পুরুষ। পুরুষ জঙ্গির পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই লাশ দুটি অজ্ঞাত হিসেবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে পড়ে আছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দুটি লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আতিয়া মহলের বাড়ির মালিকের কাছে থাকা ভাড়াটেদের তথ্য ফরমে নিচতলার ভাড়াটে হিসেবে মর্জিনা বেগম নামের একজন নারী ও স্বামী কাওসার আলী লেখা রয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহাম্মদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, অজ্ঞাত হিসেবে দুজনের মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া না গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করা হবে।
১১১ ঘণ্টা উৎকণ্ঠার পর গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয় ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। এর আগে বিকেলে ‘আতিয়া মহল’-এর ভেতরে থাকা দুই জঙ্গির ছিন্নভিন্ন লাশসহ ভবনটি পুলিশকে বুঝিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। তবে এখনো বাকি দুই জঙ্গির লাশ ঘটনাস্থলেই পড়ে রয়েছে। লাশগুলোতে সুইসাইডাল ভেস্ট বাঁধা রয়েছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম রোকন উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় দল এলে আতিয়া মহলে ঢোকা হবে। আজ রাতেই আসার কথা।