বৃহস্পতিবার ● ৩০ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েট ছাত্র - শিক্ষকরা পরিবহন ও আবাসন সংকটে
চুয়েট ছাত্র - শিক্ষকরা পরিবহন ও আবাসন সংকটে
রাউজান দক্ষিণ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: (১৬ চৈত্র ১৪২৩ বাঙালা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪০মি.) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য বাস রয়েছে মাত্র সাতটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যপ্ত সংখ্যক নিজস্ব পরিবহন না থাকায় এখন অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থী কাপ্তাই সড়কের গণপরিবহনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে এখানকার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থী ঠিক সময়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে পাচ্ছেন না। বিভিন্ন সময় তারাহুড়া করে বাস ধরতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে গণপরিবহনের শ্রমিকদের সাথে বিতর্কে জড়াতে হয়। অনেক সময় এই বিতর্ক থেকে সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
চুয়েট এর সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাঁচ হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থীর জন্য নতুন পুরাতন মিলে বাস রয়েছে মাত্র সাতটি। কোনো কোনো সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে এক বা একাধিক বাস চলে না। সবমিলে মাত্র অর্ধেক শিক্ষক শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণ করতে পারে এসব বাস।
সূত্র মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পস অভ্যন্তরে হল রয়েছে পাঁচটি। ওসব হলে থাকতে পারেন মাত্র ১৭’শ শিক্ষার্থী। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা শহরের বাসা বাড়ীতে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। একই ভাবে এই সংকটে রয়েছে শিক্ষকগণও। এখানকার প্রায় আড়াই’শ শিক্ষক কর্মকর্তার জন্য ক্যাম্পাসে আবাসন ব্যবস্থাও সংকট রয়েছে। একটি ডরমেটরিসহ অন্যান্য অবাসিক ভবনে মাত্র সোয়া’শ শিক্ষক কর্মকর্তা ক্যাম্পাসে থাকতে পারেন।
এক শিক্ষার্থী নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকার কারণে সৃষ্ট সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, ব্যস্ততম সড়ক সমূহের মধ্যে একটি চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক পথ। এই সড়কের দখল সিএনজি বেবী টেক্সির। চড়া ভাড়া টেক্সিতে চড়ে শহর থেকে ক্যাম্পাসে যযাতায়ত করার মত সমর্থ অনেক শিক্ষার্থীদের থাকে না। একারণে বেশির ভাগ যাত্রীর ভরসা গণপরিবহনের উপর। যদিও হাতেগুনা কয়েকটি বাসের উপর ভর করে চলতে হয় গণপরিবহনে।
ওই শিক্ষার্থী এসব হতাশার মাঝে আশার আলো দেখছেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি উপর আস্থাশীল হয়ে। তার আশা সাংসদের প্রচেষ্টায় চুয়েট পর্যন্ত রেল লাইন হলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্টরা পরিবহন সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে চুয়েট এর রেজিষ্টা প্রফেসর ড. ফারুক উজ্জমান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আবাসন ও পরিবহন সংকটের কথা স্বীকার করে সিএইচটি মিাডয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টায় আরো দুটি হল নির্মিত হচ্ছে। গাড়ী সংকটের বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন বলেন এই সংকট বেশি দিন থাকবে না। রাউজানের এমপি’র প্রচেষ্টায় চুয়েট পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারিত হলে শুধূ চুয়েট নয় এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।