শিরোনাম:
●   সাজেক এ ৯৫টির বেশী রেস্তোরাঁ আগুনে পুড়ে গেছে : পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত ●   রিংরং ম্রোকে আটকের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ●   বাজারফান্ড বিলুপ্ত,সার্কেল চিফকে জেলা পরিষদের সদস্য করতে সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন ●   আলী নূর এর মৃত্যুতে হাজিগঞ্জ মডেল কিন্ডার গার্টেন পরিচালনা পরিষদের শোক ●   রাউজানে ট্রাকের চাপায় নারীর মৃত্যু ●   স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রক্তিম পরিবারের কমিটি ঘোষণা ●   রংপুর বিভাগীয় ট্রাংলরি শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন ফলাফল ●   রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগের টর্চার সেলের সন্ধান ●   শিবগঞ্জে বিএনপির নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্যের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গণতন্ত্র মঞ্চের নিন্দা ●   রাঙামাটির কাউখালী গোদারপাড় এলাকা দিয়ে প্রতিদিন দেশীয় মদ পাচার হচ্ছে ●   ১৪৪৬ হিজরী রমজানের সাহ্রি ও ইফতারের সময়সূচি ●   ফটিকছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন ●   ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার-৮ ●   খাগড়াছড়িতে প্রয়াত সাংবাদিক মকসুদ আহমেদ’র শোকসভা ●   পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ২০তম কাউন্সিলে ১৫ সদস্যের নতুন কমিটি ●   মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে মধ্যরাত পর্যন্ত শাহবাগে চললো বহু ভাষার লহরী ●   রমজান মাসে বাজারে সিন্ডিকেট করে বেআইনি ভাবে মুনাফা না করতে পারে : বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ●   শোকর-এ মওলা মনজিল এর ১১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্পন্ন ●   জেলার জনসভায় অংশগ্রহণ না করে মশাল মিছিল ●   উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় বাজেট বৃদ্ধি জরুরি ●   মিরসরাইয়ে টি-১০ লং পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্স এলিভেন ●   কারও উপর দায় চাপিয়ে সরকারের পার পাওয়ার সুযোগ নেই : সাইফুল হক ●   গাজীপুরে চট্টগ্রাম সমিতির ‘মেজবান ও চট্টলা উৎসব’ ●   জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে দেয়া হবেনো : জয়নুল আবেদীন ●   বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে : মেয়র শাহাদাত হোসেন ●   ফটিকছড়িতে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ●   রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডেকোরেশন ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ ●   একুশের প্রথম প্রহরে রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন ●   মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক মকছুদ আহমেদ ●   সাংবাদিক মকছুদ আহমেদের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ৩১ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন আর দেখা যায়না
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন আর দেখা যায়না
শুক্রবার ● ৩১ মার্চ ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন আর দেখা যায়না

---

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১৭ চৈত্র ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১০মি.) ঝিনাইদহে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর হারিয়ে যাচ্ছে, এখন আর দেখা যায়না। মাটির দেয়াল, ওপরে টিন বা খড়ের চাল। সামনে বড় উঠোন। ঘরের পেছনের দিকে ছোট্ট একটি পুকুর। চারপাশে গাছ-গাছালিতে ভরপুর। এক সময় এমন মনোরম দৃশ্য চোখে পড়তো ঝিনাইদহ এলাকার প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে। এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না মাটির ঘর, হারিয়ে গেছে চিরচেনা সেই মনোরম দৃশ্য। ঐতিহ্যের এই স্থাপনাটি এখন স্থান পেয়েছে হারিয়ে যাওয়ার খাতার পাতায়।

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ঝিনাইদহের প্রতিটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে একটি করে হলেও মাটির ঘর চোখে পড়তো। প্রায় প্রতিটি গ্রামেরই ছোট সুন্দর মাটির ঘরগুলো ও ঘরের পরিবেশ সবার নজর কাড়তো। ছোট ছোট মাটির ঘরগুলোর কারণে প্রতিটি গ্রামকে স্বর্গরাজ্য মনে হতো। ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও শীত থেকে বাঁচতেও এই ঘরের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু কালের বিবর্তনে দালানকোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে এই ঐতিহ্যবাহী চিরচেনা মাটির ঘর।

বর্তমান প্রজন্মের ধনী কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য বহনকারী মাটির ঘর ভেঙে লোহা, সিমেন্টের বিলাসবহুল বাড়ি বানানোর দিকে ক্রমাগত ঝুঁকেই চলেছেন। ততোটা সামর্থ্য না থাকলে নিদেনপক্ষে টিনের বেড়া আর টিনের চালা দিয়েও বানানো হচ্ছে ঝকঝকে সুন্দর ঘরবাড়ি। আর তাতেই নাকি তাদের সম্মান আর শান্তির বসবাস!

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ মাটির ঘরে বসবাস করে আসছে। মাটির সহজলভ্যতা, প্রয়োজনীয় উপকরণ আর শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় আগের দিনে মানুষ মাটির ঘর বানাতে বেশ আগ্রহী ছিল। এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হতো। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় অথবা টিনের ছাউনি দেওয়া হতো। মাটির ঘর শুধু একতলাই নয়, অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের সময় লাগতো দেড় থেকে দু’মাস। সৌখিন গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে খাটুনি দিয়ে বিভিন্ন রকমের আল্পনা এঁকে তাদের নিজ বসত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন।

মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর চোখে না পড়লেও এটা মানতে হবে যে, এই ঘরগুলো শীত বা গরমে থাকার জন্য বেশ আরামদায়ক। মাটির ঘরে শীতের দিনে ঘর থাকে উষ্ণ আর গরমের দিনে শীতল। তাই মাটির ঘরকে গরিবের এসিও বলা হয়ে থাকে। তবে এখন আর তেমন চোখে পড়ে না গ্রামীণ এই ঐতিহ্য। কারিগররাও এখন এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কথা হয় ঝিনাইদহ জেলার গোবিন্দপুর ও আসাননগর গ্রামের মাটির ঘর কারিগর সাব্দার হোসেন ও মুঙলার সাথে।

সাব্দার হোসেন ও মুঙলার বাপ-দাদাও এই পেশায় জড়িত ছিলেন। ওনার বাবা ছিলেন তার দাদার সহযোগী। কয়েকবছর সহযোগী হিসেবে থাকার পর তার বাবাও এক সময় হয়ে যান মাটির ঘরের পাক্কা কারিগর। তখন মাটির ঘরের প্রচুর চাহিদা ছিল। বছরে ১০-১২ ঘরের কাজ পেতেন। তখন তাদের সংসার চলতো ভালোভাবেই।

বাবার সাথে কাজ করতে তিনি একদিন মাটির ঘরের কারিগর হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। কিন্তু এখন আর আগের মতো মাটির ঘরের চাহিদা না থাকায় তিনিও দূরে সরে গেছেন এই পেশা থেকে। কত বছর হচ্ছে আপনি এই পেশা ছেড়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘গত ৮ বছর ধরে এই কাজ করি না। এই কাজ চালু রাখলে তো পেটে ভাত মিলবে না। তাই এই পেশা ছেড়ে এখন কৃষি কাজ করি।’

আপনি কি এখনো মাটির ঘরে বসবাস করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাব্দার হোসেন ও মুঙলার বলেন, ‘মাটির ঘর আছে। তবে ওটাতে থাকা হয় না। নতুন টিনের ঘর করছি, এখন ওটাতে থাকা হয়। তবে মাটির ঘরে থাকার আরাম আর কোনো ঘরেই পাওয়া যাবে না।

ঝিনাইদহের সিমান্ত বদরগঞ্জ বাজার (দশ মাইল) জীবনা গ্রামের আব্দুল জলিল বিশ্বাস দির্ঘদিন ধরে মাটির ঘর তৈরির কাজে ব্যাস্ত থাকতো। কিন্তু এখন আর মাটির ঘরের প্রতি মানুষের কোন চাহিদা না থাকায় মাটির ঘর আর তৈরি করতে দেখা যায় না। তিনি আরো বলেন, জীবনা গ্রাম এখন ছোট কুয়েত হয়ে গেছে (প্রতিটা বাড়ি থেকে ২/৩জন কুয়েত প্রবাসী)। এই গ্রামে এখন ইট-বালুর ঘর তৈরীর মহড়া চলছে। তাছাড়াও এই গ্রামের সদ্য বিবাহীত নববধূরা এখন আর মাটির ঘরে থাকতে চাইনা। বিয়ের পরপরই তারা স্বামীর কাছে বায়না ধরে ইমারত গড়ে দেয়ার জন্য। এ কারণেই এ এলাকা থেকে হারিয়ে গিয়েছে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর।

এখনো মাটির ঘরে বসবাস করেন ঝিনাইদহ সদরের গোপিনাথপুর গ্রামের সাগর কর্মকার। কথা হলো তার সাথে। তিনি এখন যে ঘরে থাকেন সেটা তার বাবার হাতে বানানো। বাবার হাতে বানানো হলেও এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার সংস্কার করেছেন তিনি। এখনকার মাটির ঘরের অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, তাদের পুরো গ্রাম খুঁজলে দু-তিনটির বেশি মাটির ঘর পাওয়া যাবে না।

এখনকার দিনে মানুষ মাটির ঘরে থাকতে চায় না। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলে সবাই। কিন্তু খুবই অল্পসংখ্যক মানুষ আছে যারা অর্থের অভাব কিংবা বাপ-দাদার স্মৃতি ধরে রাখতে এখনো বসবাস করেন মাটির ঘরে। আপনি কোন কারণে মাটির ঘরে বসবাস করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাবার দেওয়া ঘর, তাই এখনো রেখেছি। কিছু টাকা-পয়সা জমাতে পারলেই টিনে ঘর দিয়ে দেবো। মাটির ঘরে থাকতে আরাম হলেও সংস্কারের জন্য কারিগর খুঁজে পাই না।’

মাটির ঘর থেকে ইট-পাথরের ঘর বানিয়েছেন ঝিনাইদহ সদরের গোপিনাথপুর গ্রামের দিপক কর্মকার। গত ২ বছর আগেও মাটির ঘর ছিল তার। তার সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ প্রশ্ন করলাম, মাটির ঘর কি কারণে ভেঙে ফেললেন? তিনি বলেন, ‘মাটির ঘর থাকলে মানুষ এখন গরিব মনে করে।’ তিনি জানান, মাটির ঘরের চাইতে তিনি এখন অনেক সুবিধা ভোগ করছেন। মাটির ঘরের মতো বিল্ডিং ঘরকে বারবার মেরামত করতে হয় না।

আধুনিকতার খাতিরে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনযাপনের চিত্র। বদলে যাচ্ছে থাকার জায়গা, পোশাক-আশাক, যোগাযোগ ব্যবস্থা। বদলে যাচ্ছে সাব্দার হোসেন ও মুঙলার মতো শতশত মানুষের কর্মব্যস্ততা। ঠিক তেমনি আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহ থেকে ঐতিহ্যবাহী সব মাটির ঘর।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

কুষ্টিয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
কুষ্টিয়ার চরমপন্থী নেতা আতিয়ার খাঁকে হত্যা করল তৃতীয় পক্ষ ফাঁসল ২য় পক্ষ -পর্ব ১ কুষ্টিয়ার চরমপন্থী নেতা আতিয়ার খাঁকে হত্যা করল তৃতীয় পক্ষ ফাঁসল ২য় পক্ষ -পর্ব ১
কুষ্টিয়াতে আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে ইউএনও’র মিটিং কুষ্টিয়াতে আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে ইউএনও’র মিটিং
কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
কুষ্টিয়ার আলাউদ্দিন নগরে পিঠা উৎসব ও কৃষি মেলা কুষ্টিয়ার আলাউদ্দিন নগরে পিঠা উৎসব ও কৃষি মেলা
কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠে বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী কুষ্টিয়া মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠে বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী
বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল ইয়াবাসহ ২০ লাখ টাকা বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল ইয়াবাসহ ২০ লাখ টাকা
আ.লীগ সরকারের আমলে দখল নেওয়া জমি উদ্ধার করল গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ আ.লীগ সরকারের আমলে দখল নেওয়া জমি উদ্ধার করল গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)