শনিবার ● ১ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » ভারী বর্ষণে বিশ্বনাথে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে
ভারী বর্ষণে বিশ্বনাথে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (১৮ চৈত্র ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩০মি.) ভারী বর্ষনে সিলেটের বিশ্বনাথে বিভিন্ন নদ-নদী ও এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৩০মার্চ বৃহস্পতিবার ও ৩১ মার্চ শুক্রবার ভোর বেলা থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বিভিন্ন হাওর-নদী-খাল-বিলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে যদি আরও কয়েকদিন বৃষ্টি হলে বন্যার আশংক করেছেন উপজেলাবাসী। শুক্রবার ভোর বেলা থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়ে দুপুরে বৃষ্টি থামে। এরপর সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। তবে সূর্য্য দেখা একবারও মিলেনি। জরুরী কাজ ছাড়া লোকজন বাসা-বাড়ি থেকে বের হননি। দিনভর ভারী বর্ষণের ফলে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম দূভোগে এবং দিনমজুরি অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পুরো উপজেলার জন জীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে। তবে এখনো উপজেলায় কোথাও প্লাবিত হয়নি খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলার লামাকাজি ও দেওকলস ইউনিয়নের কয়েকটি নিম্নাঞ্চল রাস্তা পানির নিচের যাওয়ার আশংকা করছেন বলে ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান। ভারী বর্ষনের ফলে এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে এভাবে যদি আরও কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয় তবে পুরো উপজেলার ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। গত দুইদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে সব থেকে সমস্যায় পড়েছে নিচু এলাকার ঘরবাড়ি-হাট বাজার। উপজেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা বিভিন্ন সরকারি অফিস-বাসার আঙ্গিনা পানি জমাট বেধে রয়েছেন। ফলে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের পুহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। টানা ভারী বর্ষণের ফলে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী-খাল-বিলে দিনদিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৭হাজার ৬শত হেক্টর বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড ৩শ ৬০ হেক্টর, উফসী ৬ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর ও স্থানীয় বোরো চাষ হবে ৩শ হেক্টর জমিতে।
এব্যাপারে লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, এভাবে বৃষ্টি হয়ে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তবে কিছুকিছু নিম্নাঞ্চল এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
কৃষি অফিসার আলী নূর রহমান বলেন, এলাকার কিছু কিছু জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে এভাবে অবিরাম বৃষ্টি হলে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, এখনো পর্যন্ত উপজেলার কোথাও প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এভাবে দিনভর বৃষ্টি হলে এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে তিনি জানান।