মঙ্গলবার ● ১৮ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » একই গ্রামে ১৫ প্রতিবন্ধীর মানবতের জীবন যাপন
একই গ্রামে ১৫ প্রতিবন্ধীর মানবতের জীবন যাপন
মেহেরপুর প্রতিনিধি ::(৫ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪০মি.) আমরা প্রতিবন্ধী মানুষ হওয়ায় সমাজের আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারিনা। আমরা সংসারের বোঝা হয়ে জীবন যাপন করি। সরকারী ভাবে কোন সহায্য সহায়তা না পেলেও কপাল গুনে ভাগ্য জুটেছে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড।
এ প্রতিবন্ধী কার্ড নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘুরেও কোন লাভ হয়নী। এ কথা গুলো বলছিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ সামছুদ্দীন। ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম জামাল আহমেদের কাছে অনুরোধ করেন তারা। শুধু সামছুদ্দীন নয় তার মত অন্তত ১৫ জন প্রতিবন্ধী এসেছিলেন ভাতার দাবিতে। প্রতিবন্ধীদের সকলের বাড়ি উপজেলার সাহেবনগর গ্রামে। প্রতিবন্ধী আহসান হাবিব সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান,সমাজ সেবা অফিস থেকে তাদের প্রতিবন্ধী কার্ড হয়েছে। কিন্তু সরকারি সাহায্য সহযোগীতার জোটেনী তাদের কপালে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে গিয়েছে বহুবার। কিন্তু সান্তনা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি ভাগ্য। তিনি আরো জানান, ২০০২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তাকে একটি হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। একারনে তেমন কোন কর্ম করতে পারিনা। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিলচাঁদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আমরা যারা প্রতিবন্ধী আছি কার্ড ছাড়া কিছুই পায়নী। এব্যাপারে কাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ জানান, কাজিপুর ইউনিয়নে ৫১ জন প্রতিবন্ধীকে তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ভাতা পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকলেই পাবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী আফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম জামাল আহমেদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আমার কাছে প্রতিবন্ধীরা এসেছিলেন এবং তাদের সব কথা আমি শুনেছি। কর্তৃপক্ষ কে অবগত করা হবে। প্রতিবন্ধীরা যাতে ভাতা পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।