মঙ্গলবার ● ১৮ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ পুলিশ সংর্ঘষ : ১০ গাড়ি ভাংচুর
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ পুলিশ সংর্ঘষ : ১০ গাড়ি ভাংচুর
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: (৫ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৪৫মি.) চট্টগ্রামে সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ বন্ধ করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বাধা পেয়ে ছাত্র সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। এই সময় পুলিশ সদস্যদের উপরও হামলা চালানো হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা শটগানের গুলি ছুড়ে। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংর্ঘষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এই সময় রাস্তায় এক ঘন্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। অনেকে ছুটোছুটি করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণের সময় ঘটে এই ঘটনা।
ইতিমধ্যে কাজটি বন্ধ করতে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছিলেন। এরই মাঝে ছাত্রলীগের ৩০/৪০ জন নেতা-কর্মী গিয়ে সেখানকার শ্রমিকদের মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘেরা দেয়া টিন ও বাউন্ডারি ভেঙে ফেললে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টায় বন্দরনগরীর কাজীর দেউরি মোড়ের কাছে আউটার স্টেডিয়ামের ওই সুইমিং পুলের কাজ বন্ধ রাখতে ছাত্রলীগের কর্মীরা মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি শুরু করে।
এই সময় হঠাৎ করে আউটার স্টেডিয়ামে গিয়ে কর্মচারীদের মারধর করেন কয়েকজন নেতা-কর্মী। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে বেড়ে যায় উত্তেজনা। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ চলে। ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। সংর্ঘষ শুরু হলে আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়।
ছাত্রলীগ কর্মীরা বাধা পেয়ে কাজী দেওড়ি মোড়ে শহর রুটের ৩ নম্বর বাস, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ভাংচুর করে। ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে তাদের দুইজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন হাসপাতালে। এছাড়া অন্তত আরো ১০ জন আহত হয়েছেন। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, পুলিশ হঠাৎ করে চড়াও হয় আমাদের উপর। চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামের মাঠ একটা খোলা জায়গা। সেখানে সুইমিং পুলের কাজ বন্ধ রাখতে গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা আন্দোলন করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দু’জনের পায়ে গুলি লেগেছে। তারা এখন হাসপাতালে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। যে কোন উপায়ে আমরা কাজ বন্ধ রাখবো।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাইন হোসেন বলেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। এতে আমাদের চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।