শুক্রবার ● ২১ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » গাবতলীতে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন
গাবতলীতে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন
বগুড়া প্রতিনিধি :: (৮ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২০মি.) শুক্রবার ২১ এপ্রিল বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কলাকোপা সুবাদ বাজারে বিনামূল্যে মুনলাইট স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের চারমাস পূর্তি ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক সহিদুল ইসলাম খাঁন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএমএ বগুড়ার সভাপতি ডা: মোস্তফা আলম নাননু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বগুড়ার সভাপতি ডাঃ সামির হোসেন মিশু, বগুড়া জিলা স্কুলের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক রওশান আরা বেগম রানী, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ রেহমান।
সরকারী আজিজুল হক কলেজের ১৯৮৯ ব্যাচের সাবেক ছাত্রদের পরিচালিত সংগঠন মুনলাইট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এমডিএস) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জান্নাতুল বাকিয়া মুনমুন।
অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের দন্ত চিকিৎসক ডা: রোকনুজ্জামান সোহাগ, ডাঃ পল্লব কুমার সেন, গাবতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি রায়হান রানা, দৈনিক করতোয়ার গাবতলী প্রতিনিধি এনামুল হক, মুনলাইট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এমডিএস) সহ-সভাপতি জাকির হোসেন তরফদার শুভ্র, বাগবাড়ি কলেজের প্রভাষক জিনিয়া নাজনীন, হাবিবপুর কলেজের প্রভাষক মোরশেদা বেগম আইভি, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম তুষার, বাগবাড়ি বৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকন, পল্লী চিকিৎসক আজাদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য লাবনী আকতার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন বন্ধু মিলে মুনলাইট এর নামে সেবামুলক কাজ করছে। তারা অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবামুলক কাজ করছে। এটি প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাদের উদ্যোগের কারণে বহু অসহায় মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ দেশের সর্বত্র আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য. গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বগুড়ার কলাকোপার সুবাদবাজারে মুনলাইট হেলথকেয়ারের কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রতি শুক্রবার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে গরীব রোগীদের বিনামুল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যস্ত ১ হাজার ২শ’ ৫৩ জন রোগীর চিকিৎসা ও ১৮০ জনের ডায়াবেটিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও মুনলাইটের তত্বাবধানে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ১৮ জনের চক্ষু অপারেশন, ২১ জনের বিভিন্ন অপারেশন করা হয়েছে।