শনিবার ● ২২ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ
হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: (৯ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৩মি.) এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। ২২ এপ্রিল রাত ১২ টা থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহ শুরু করে ডিম সংগ্রহকারীরা।
প্রায় শতাধিক নৌকা ডিম সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিল। সরজমিনে দেখা যায় এবার প্রত্যেক নৌকায় গড়ে ১ বালতি (১৬ কেজি) করে ডিম সংগ্রহ করে।
ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর, আশু বড়ুয়া, মফিজ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান গত বছরের তুলনায় এবার ভালো ডিম সংগ্রহ করেছি আমরা। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান রাত ১২ টা থেকে ডিম সংগ্রহ শুরু হলে ডিম সংগ্রহকারীরা নিকটবর্ত্তী হ্যাচারিতে নিয়ে আসে রেণু উৎপাদন করার জন্য। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে সরকারি হ্যাচারি গুলোতে ডিম সংগ্রহকারীরা ভিড় করেছে রেণু উৎপাদনের জন্য। হালদা নদী গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া রাত দুই টার সময় তিনি হালদা নদীতে ডিম সংগ্রহ পরিদর্শনে আসলে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপ কালে জানান এবার তিনি ১০৫ টি নৌকাকে ডিম সংগ্রহ করতে দেখেন এবং গড়ে ১ বালতির বেশী ডিম সংগ্রহ করতে দেখা যায়নি বলে জানান। তিনি আরো বলেন ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ পাওয়ায় রাত থেকে হালদা নদীতে ডিম ছাড়তে শুরু করে কার্প জাতীয় মা মাছ। এর আগে সন্ধ্যায় নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ।
উল্লেখ্য গত এক বছর বিরতি দিয়ে এবার হালদা নদীতে ডিম ছেড়েচে কার্প জাতীয় মা মাছ।
সরজমিনে দেখা যায় নাপিতের ঘোনা এলাকায় প্রথমে মা-মাছের ডিম পাওয়া গেল পরে খলিফার ঘোনা, রামদাশ মুন্সির হাট থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করে ডিম সংগ্রকারীরা।
গবেষক ড. মনজুরুল কিবরীয়া সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে আরো জানান, ডিম সংগ্রকারীরা সনাতন পদ্ধতিতে মাটির গর্তে পানি দিয়ে ডিমগুলো থেকে রেনু তৈরি করবে চার দিনে। এরপর সেই রেনু ছোট ছোট পুকুরে ছেড়ে দিয়ে পোনা তৈরি হবে। ঐ সময় বোঝা যাবে কোনটি কোন মাছের পোনা। হালদার পোনা দ্রুত বড় হওয়ায় সারা দেশে মৎস্যচাষিদের কাছে বিশেষ কদর রয়েছে। দামও তুলানামূলকভাবে বেশি।
গবেষক মনজুরুল কিবরিয়া জানায় এবার ডিম সংগ্রকারীদের তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক হিসাবে ১হাজার ৬৮০ কেজি মাছের ডিম আহরণ করা সম্ভব হয়েছে। সব কিছু টিকটাক থাকলে এর থেকে ২৮ কেজ রেনু পাওয়া যাবে। প্রতি কেজি রেনুতে চার-পাঁচ লক্ষ মাছের পোনা জন্মাবে।