রবিবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
ঝালকাঠিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (১০ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৪৫মি.) পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষের দাবিতে এক যুবক ও তার মাকে মারধরের অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি থানার তিনজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে ২৩ এপ্রিল রবিবার ঝালকাঠির বিশেষ জজ আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের হয়েছে।
নির্যাতিত যুবকের মা সেলিনা বেগম বাদি হয়ে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনর ৫(২) ধারায় এ নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন।
ঝালকাঠি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক কোন আদেশ না দিয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল শুনানীর জন্য ধার্য করেন। মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন নলছিটি থানার এসআই বিপ্লব কুমার মিস্ত্রী, এসআই ফিরোজ ও এসআই জসিমকে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী তপন কুমার সরকার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান গত ৩০ মার্চ রাত তিনটার দিকে নলছিটি থানার তিন এসআই বিপ্লব কুমার, ফিরোজ ও জসিম ৫/৬জন কনেস্টবলসহ নলছিটি উপজেলার তৌকাঠি গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। ফারুক হোসেনের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫৩) এর দরজা খুলতে দেরী হলে তিন এসআই ও পুলিশ দরজা ভেঙ্গে জোড় পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে সেলিনা বেগমের দুই ছেলে দিন মজুর সজিব ও রাজিবকে মারধর শুরু করে। সেলিনা বেগম ছেলেদের বাচানোর চেস্টা করলে তিন এসআই তাকেও মারধর করে। সেলিনা বেগম মারধরের কারন জানতে চাইলে তিন এসআই বলেন তোর ছেলেরা মাদকের ব্যবসা করে। এখন আমাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিবি অন্যথায় তোর ছোট ছেলেকে ধরে নিয়ে মাদক (গাজা) মামলায় চালান দেব। সেলিনা বেগম টাকা না দেওয়ায় পুলিশ তার ছোট ছেলে রাজিবকে গ্রেফতার করে নলছিটি থানায় নিয়ে যায় এবং রাজীবের কাছে এক পুড়িয়া গাজা পাওয়া গেছে বলে প্রচারনা চালায়। পরের দিন ৩১ মার্চ সকালে নিরীহ দিনমজুর রাজীবকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের কয়েকশত মানুষ নলছিটি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভের কারনে নলছিটি থানা পুলিশ রাজীবকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। বিক্ষোভের সময় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা অভিযুক্ত তিন এসআইসহ কনেস্টবলদের নলছিটি থানা থেকে প্রত্যাহারের আশ্বাষ দিলেও প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ব্যাপারে সেলিনা বেগম পুলিশের আইজি, ডিআইজি ও বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে কোন সুফল না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।