বৃহস্পতিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর বাঙালি ছাত্র পরিষদের স্বারকলিপি
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর বাঙালি ছাত্র পরিষদের স্বারকলিপি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: র্পাবত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখা প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মমিন অনলাইন গনমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান বৈষম্যহীন ভর্তি ও স্থানীয় কোটায় বাঙালি শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত করাসহ ৩দফা দাবিতে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর এর নিকট ২৭ এপ্রিল বৃহসপতিবার স্বারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ।
স্বারকলিপি হুবহু প্রকাশ করা হলো : পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ১৯৯১ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকারহারা বাঙালীদের অধিকার আদায়ের অগ্রণী সংগঠন হিসেবে ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত দুইযুগেরও বেশি সময় ধরে আমরা নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলন ও লড়াই সংগ্রামের পার্বত্য জনপদে সমতা ও বৈষম্যহীন পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যখন পাহাড়ের আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরোধীতার কারণে শুরু করা যাচ্ছিলো না,তখন আমরাই পার্বত্যবাসিকে সাথে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটো চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করি। আমাদের আন্দোলন ও পার্বত্যবাসির দাবি এবং একই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের কারণে প্রতিষ্ঠানদুটোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কিন্তু আমরা গভীর হতাশার সাথে লক্ষ্য করছি, প্রথম বছরের পর থেকে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও নিয়োগে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারি বাঙালী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। যোগ্য বাঙালী শিক্ষার্থীদের না নিয়ে গোপন পরীক্ষার মাধ্যমে পাহাড়ী শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্যও আমাদের কাছে আছে। শুধু তাই নয়,বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে মেধাকোটায় সারাদেশ থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ‘বাঙালী’ কোটায় দেখিয়ে একটি মিথ্যা বিভ্রম তৈরি করছে। মেধা কোটায় সারাদেশ থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ‘বাঙালী কোটায় দেখানোর এ অসুস্থ প্রবণতা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আমরা জানতে পেরেছি যে, আগামী ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায় আমরা আপনার কাছে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের তিনদফা দাবি উপস্থাপন করছি
১.পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় পাহাড়ী ও বাঙালী শিক্ষার্থীদের ৫০% হারে ভর্তি করতে হবে।
২.অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে হবে।
৩.ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যে ফলাফল প্রদান ,ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন এবং নতুন বর্ষের শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের এই তিনদফা দাবি মেনে নেয়া না হলে, অবরোধ,হরতাল ও ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অচল করে দেয়া হবে।