শুক্রবার ● ২৮ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » পাবনা » প্রমথ চৌধুরী অমূল্য সম্পদ, তার স্মৃতি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের : রেখা রাণী বালো
প্রমথ চৌধুরী অমূল্য সম্পদ, তার স্মৃতি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের : রেখা রাণী বালো
চাটমোহর প্রতিনিধি :: প্রমথ চৌধুরী অমূল্য সম্পদ। তার স্মৃতি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। তিনি এপার বাংলা ওপার বাংলার একজন বিখ্যাত লেখক। তার পৈত্রিক ভিটা দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারদের কবলে ছিল। আপনারা চেয়েছেন তার ভিটা অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে। আমরা তা করেছি। প্রমথ চৌধুরীর মত একজন গুনী ব্যক্তির স্মৃতি হারিয়ে যেতে পারে না। তার স্মৃতি সংরক্ষণ করতে হবে। আপনারা আন্তরিক ভাবে চাইলে তা সম্ভব। সকলের সহযোগিতায় লেখকের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। এখানে পিকনিক স্পট হতে পারে, লাইব্রেরী হতে পারে, সংগ্রহশালা হতে পারে অনেক কিছু হতে পারে। এখানে এমন কিছু করা যেতে পারে যেন সারা দেশের মানুষ এখানে বেড়াতে আসে। বিশ্বের মানুষ এখানে ছুটে আসে। আমি আপনাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করব।
২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকালে চাটমোহর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্য রীতির প্রবর্তক উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর বসত ভিটায় প্রমথ চৌধুরী সংগ্রহশালা, লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান সংক্রান্ত প্রস্তাবনার উপর মত বিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে উপরোক্ত কথা বলেন পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালো।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শেহেলী লায়লার সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি প্রভাষক ইকবাল কবীর রনজু লেখকের স্মৃতি সংরক্ষণার্থে প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে উক্ত বাড়ীর সীমানা নির্ধারণ পূর্বক চারপাশে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী ও নাম ফলক সম্বলিত গেট, প্রমথ চৌধুরী সংগ্রহ শালা, মনোমুগ্ধকর লাইব্রেরী, আধুনিক শিশু পার্ক, অডিটোরিয়াম, পর্যটক বা দর্শনার্থীদের জন্য গেষ্ট রুম বা রেষ্ট হাউজ ও পিকনিক স্পট নির্মানের প্রস্তাবনা করেন। পাশাপাশি ভিটায় অবস্থিত লেখকের স্মৃতি বিজরিত মন্দির সংস্কার, চাটমোহর- হরিপুর সড়কের নামকরণ “প্রমথ চৌধুরী সড়ক”, প্রমথ চৌধুরীর জীবনী ও কর্ম তুলে ধরে সাইনবোর্ড স্থাপন, বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার পাশে দোকান পাট নির্মাণ, প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে তিন দিন ব্যাপী “প্রমথ মেলা” চালু করণ, উক্ত ভিটায় প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের কার্যকরী কমিটির একটি অফিস ঘর স্থাপন এবং প্রমথ চৌধুরীর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবনাও করেন তিনি।
এসময় চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, এ এসপি সার্কেল তাপস কুমার পাল, বেসরকারী গনগ্রন্থাগারের উপদেষ্টা খাইরুল আলম, সাবেক এম পি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ মাহমুদ সনজু, প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন, প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি রক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ এম এ মমিন সরকার, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক চলনবিল পত্রিকার সম্পাদক রকিবুর রহমান টুকুন, সাপ্তাহিক সময় অসময় পত্রিকার সম্পাদক কেএম বেলাল হোসেন স্বপন, দৈনিক আমাদের বড়াল পত্রিকার সম্পাদক মো. হেলালুর রহমান জুয়েল বক্তব্য রাখেন। বক্তাগন লেখকের স্মৃতি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানান।
এসময় চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সাপ্তাহিক বাঁশপত্র সম্পাদক শামীম হাসান মিলন, সাপ্তাহিক সবুজ আলো সম্পাদক সিদ্দিক আলম সবুজ, প্রমথ চৌধুরী স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সহ সভাপতি শামসুজ্জোহাসহ কার্য নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানগন, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।